নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকারের ঘরে ঠিকঠাক রাজস্ব পৌঁছে দেওয়ার পরেও অনাবশ্যক তলাবাজিতে বিপর্যস্ত ট্রাক, লরি ইত্যাদির মালিকরা। তোলা বাজির নামে চলছে জুলুম অথচ সারা দেশ জুড়ে অন্য রাজ্য গুলিতে লরির মালিকরা যে সুবিধা পেয়ে থাকে তা দেওয়া হচ্ছেনা এই রাজ্যের লরি বা ট্রাকের মালিকরা আর সেই কারণে ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। এই রকম নানাবিধ সমস্যা নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর এসোসিয়েশান এর ডাকে ৭২ ঘন্টা ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে দাবি করলেন ট্রাক ও লরির মালিকদের সংগঠন।
তিনদফা দাবির ভিত্তিতে নিয়ে গত১২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল ধর্মঘট যা ১৪ তারিখ অর্থাৎ বুধবারই শেষ হচ্ছে। এদিন সারসার ট্রাক লরি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে হাওড়া-মুম্বাই ৬ নং জাতীয় সড়ক এবং বালেশ্বর-রানীগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ধর্মঘটের এই বিপুল সাড়া পড়ায় উদ্বুদ্ধ ডেবরা ট্রাক ওনার্স আ্যশোসিয়েশনের সম্পাদক উদয় দন্ডপাট বলেন যদি আমাদের দাবি গুলি না মানা হয় তাহলে পূজার পর ওনারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।
দন্ডপাট বলেন, আমরা দাবি করছি অন্যন্য রাজ্যের ন্যয় ২৫% অতিরিক্ত এক্সেল লোড চালু করতে হবে ও লোডিং পয়েন্ট থেকে ওভার লোডিং বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত: ট্রাকের উপর ডাকপার্টি,প্যাড পার্টি ভূমি দপ্তর সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং তৃতীয়তঃ করোনা মহামারী প্রকোপে দীর্ঘ লকডাউন হেতু পরিবহন ব্যাবসায় প্রভূত ক্ষতির কারনে অন্যান্য রাজ্যের ন্যায় পশ্চিমবঙ্গেও ফিটনেস, রোড ট্যাক্স এবং বেঙ্গল পারমিটে আর্থিক ছাড় দিতে হবে।
ট্রাক মালিকদের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “ট্রাক মালিকদের ওপর বিভিন্ন ধরনের যে তোলাবাজি চলছে তার মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষকেই যে বালি ৫০০টাকায় পাওয়া যেত তার খরচ পড়ছে ১হাজার টাকা। ওদিকে সরকারের ঘরে এই রাজস্ব জমা পড়ছেনা। জয় বাংলা ইত্যাদি নানা রকম আ্যপ ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে যার ভাগ নিচ থেকে ওপর তলায় পৌঁছে যাচ্ছে।”
ডেবরা ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষে জানানো হয়েছে রাজ্যের ৬লক্ষ ৫০ হাজার ট্রাক ও লরির মালিক এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। রাজ্য সরকারের কাছে নানা রকম আবেদন নিবেদন করেও কাজ হয়নি। বারবার আলোচনায় শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে। এবার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মালিকদের। তাই এই তিনদিনের ধর্মঘট সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে করা হল। এরপরও সরকারের টনক না নড়লে পুজার পর অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে সামিল হবেন ট্রাক মালিকরা।