নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার থেকে শুক্রবার সমস্ত রাজ্য সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের ঘরে থাকার জন্য জানিয়ে দিল নবান্ন। আর এই নির্দেশের ফলে আপাতত আগামী সপ্তাহ পুরোপুরি ছুটির পরিস্থিতি তৈরি হল রাজ্যে। প্রথমে নবান্ন ঠিক করেছিল কয়েকজন করে অফিসে আসলেই চলবে তবে রবিবার সকালে কেন্দ্রের সঙ্গে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের বৈঠকের পরে সোমবার ২৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের কিছু গ্রাম ও শহর এলাকায় কিছু পরিষেবায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার কথা ঘোষনা করা হয়। সেইসঙ্গে রবিবার রাত ১২টার পর থেকেই লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই যাতায়াতের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সোমবার সকাল থেকে শুক্রবার কার্যত সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দিল নবান্ন।
রবিবার বিকেলে নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া কারও বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। এই পরিস্থিতিতে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের ২৩ মার্চ অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য যেসব ব্যক্তি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা এই আওতার বাইরে।
রবিবার সকালে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষনার পরই এরকম সিদ্ধান্তের দিকে হাঁটতে হয়েছে রাজ্যকে। প্রথম ঘোষনায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক জানায় রবিবার রাত ১২ টার পর থেকেই পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া শাখায় কোনও লোকাল ট্রেন চলবে না। ৩১ তারিখ পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে মেট্রো রেলও। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় ঘোষনায় জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এরকম ৭৫টি জেলাকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু কলকাতার দুটি জায়গায় ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা ও দমদমে এই প্রকোপ দেখা দিয়েছে তাই এই দুটি জেলাও সেই আওতায় পরে।
কেন্দ্রের এই নির্দেশের পরে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা একটি নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে গোটা রাজ্যের কিছু গ্রাম ও শহর এলাকায় ২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জানানো হয়, এই সময়ে এই এলাকাগুলিতে গণ পরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। শুধু ট্রেন বাস নয়, অটো রিকশ, ট্যাক্সি কিছুই চলবে না। কেবল মাত্র হাসপাতালের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স, বিমানবন্দর, স্টেশন ও বাস স্ট্যান্ড থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি এবং অত্যবশকীয় পণ্য পরিবহণের জন্য গাড়ি চলবে। সেইসঙ্গে সব দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস, কারখানা, ওয়ার্কশপ বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।