ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বর্তমানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাই একমাত্র পথ। কিন্তু ইতিমধ্যেই খুকে গিয়েছে অফিস। ফলে চাকরি বাঁচাতে বেশিরভাগেরই ভরসা বাস- অটো। এর জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও থাকছে। কিন্তু অনেকেই আবার ভীড় এড়াতে ব্যবহার করছেন সাইকেল কিংবা মোটর সাইকেল। তাদের জন্য দারুণ খবর। দেশের প্রথম সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বাইক নিয়ে হাজির জেমোপাই ইলেকট্রিক নামক একটি সংস্থা। এই মিনি ই-স্কুটারের নাম রাখা হয়েছে মিসো। এর দামও একেবারেই মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই।
তবে এই মিনি স্কুটার দু রকমের তৈরি করা হয়েছে। এই মিনি ই-স্কুটারে থাকছে একটি মাত্র সিট। মালপত্র বহন করার জন্য রয়েছে একটি ক্যারিয়ারও। এই ই-স্কুটারটি প্রায় ১২০ কেজি পর্যন্ত ওজন বইতে সক্ষম। অন্য স্কুটিটি একইরকম তবে এক্ষেত্রে কোনও ক্যারিয়ারের অপশন নেই। তবে ই-স্কুটারটি পেট্রোলে নয় বরং ব্যাটারিতে চলে। স্কুটারটিতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি রয়েছে। মাত্র দুঘণ্টায় ফুল চার্জেই ৭৫ কিলোমিটার অবধি মাইলেজ দিতে পারে এই মিনি স্কুটার। গতি হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার। তবে যাদের মোটর সাইকেল আছে কিন্তু লাইসেন্স নেই তাদের ক্ষেত্রে সুখবর। এই স্কুটার চালানোর ক্ষেত্রে কোনরকম লাইসেন্স লাগবে না। লাগবে না আরটিও দফতরের অনুমতিও। এর দামও একেবারেই মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই, মাত্র ৪৪ হাজার টাকা। বাজারে আসতেই ইতিমধ্যে এই মিনি স্কুটারের বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মূহুর্তে বুকিং করলে কোম্পানির তরফে ২ হাজার টাকা করে ছাড় দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়েছে। জুলাই মাস থেকেই ডেলিভারিও শুরু হয়ে যাবে। ঠিক এই মুহূর্তেই বুকিং করলে ২ হাজার টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে এই বাইকের উপরে।
এই বিষয়ে জেম রাজপাই ইলেকট্রিক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমিত রাজ সিংয়ের কথায়, “একটা সময়ে ব্যবসার দিক থেকে আমরা যখন খুবই ধাক্কা খাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই মানুষের সেফটির কথা মাথায় রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াও খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য অত্যন্ত নিরাপদ একটি যান হতে চলেছে মিসো।”