ওয়েব ডেস্ক : বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে বিজেপি কর্মীদের খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছে। মিছিল আটকাতে মরিয়া পুলিশ প্রশাসন। এর মধ্যেই এদিন সকালে সোনারপুর স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধুন্ধুমার অশান্তি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে যাওয়া দলীয় কর্মী সমর্থকদের সোনারপুর স্টেশনে এসে স্পেশাল ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করে। বিষয়টি রেল পুলিশের নজরে আসতেই পুলিশ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাধা দেওয়া হয়। সেই সময় আচমকা রেল পুলিশের সঙ্গে গেরুয়া বাহিনীর হাতাহাতি বেধে যায়। ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, দুপক্ষের বচসার মধ্যে আচমকা রেল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোঁড়া হয়। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় পুলিস। গণ্ডগোলে জখম হন বেশ কয়েকজন।
এদিকে একই অবস্থা ডানকুনিতে। নবান্ন অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার বেলা গড়াতেই ডানকুনিতে তুলকালাম বেধে যায়। বিজেপির মিছিল আটকাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কর্মী সমর্থকেরা। রাস্তা জুড়ে চলে অবরোধ। বিজেপির অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
তবে শুধুমাত্র ডানকুনি নয়, মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে এদিন দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ। ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে বিজেপির তরফে ফের বিক্ষোভ দেখানো হলে লাঠি মেরে বিক্ষোভ হঠিয়ে দিল পুলিশ। এর জেরে ঘুরিয়ে দেওয়া হল বাস। এদিকে মিছিল আটকাতে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাওড়ার সবকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে কমব্যাট ফোর্স।
অন্যদিকে, এদিন দুরদুরান্ত থেকে বহু কর্মী সমর্থক মিছিলে যোগ দিতে আসেন। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিজেপি দফতরে। প্যাকেট করে বিলি করা হচ্ছে ভাত, ডাল, সবজি। তবে নির্বাচনের আগে বিজেপির এদিনের নবান্ন অভিযান সফল করতে স্বাভাবিকভাবেই মরিয়া পদ্ম শিবির।