নিউজ ডেস্ক: দেশ তথা রাজ্যের এখনো রেহাই মেলেনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে। তারই মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের অশনি সঙ্কেত। বিশেষজ্ঞদের মতে আর কয়েক সপ্তাহ পরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বাংলায়। তবে এবার সবথেকে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে শিশুদের নিয়ে। স্বাস্থ্য় বিশেষজ্ঞদের দাবি করোনার তৃতীয় ঢেউতে আক্রান্ত হতে পারে ছোট্ট শিশুরা। তাদের রক্ষা করতে এবার নানা পরিকল্পনা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর।এতদিন বড়দের জন্যই চালু ছিল সেফ হোম।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে সমস্ত শহরেই চালু হবে সেফ হোম। তারই পরিকল্পনা হিসাবে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার জেসু আশ্রমে শিশু ও মায়েদের জন্য তৈরি করা হল ৩০ শয্যাবিশিষ্ট সেফ হোম। সোমবার সদ্য গৃহীত সেফ হোমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিংয়ের ডিএম এস পোনাম্বলাম, এসএমসি প্রশাসক গৌতম দেব, দার্জিলিং জেলা সিএমওএইচ পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত প্রমুখ ।
এই সেফ হোমেটি মহামারীটির তৃতীয় ঢেউয়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে নির্মিত হয়েছে।এখানে শিশু ও মায়েদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সেফ হোমে অক্সিজেন ও কনসেন্ট্রেটরও সরবরাহ করা হবে।জেলা প্রশাসন ও চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউটের (সিআইএনআই) উদ্যোগে এবং জেসু আশ্রমসহ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় সেফ হোমটি খোলা হয়েছে। অবশ্য শুধুই উত্তরে নয় এদিন শিশুদের জন্য সেফ হোম খুলছে দক্ষিণেও।
এবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে পাইকপাড়ার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে আরজিকর লেডিজ হস্টেলের ভেতর তৈরি রাখা হচ্ছে ৬০ শয্যার শিশুদের জন্য সেফ হোম। শিশুদের পাশাপাশি এখানে মায়েরাও থাকতে পারবেন। পর্যাপ্ত শিশু চিকিৎসক,নার্সদেরও রাখা হবে এখানে। শিশুদের চিকিৎসায় ও যত্নে যাতে কোনও ত্রুটি না হয় সেব্যাপারে বিশেষ যত্নবান স্বাস্থ্য দফতর। তাদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ সবরকমভাবে সহযোগিতা করছে কলকাতা পুরসভাকে। এই সেফ হোমে ৬০টি শয্যা নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই সেফ হোম। শিশুদের চিকিৎসা যথাযথ করার জন্য চিকিৎসকদের সবরকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ। কলকাতা পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ যাতে কোনওভাবেই একজন শিশুকেও কেড়ে নিতে না পারে তার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এব্যাপারে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমও বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।