নিউজ ডেস্ক: কেরোসিন তেলের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে পেট্রোল ও ডিজেল তৈরীর রমরমা ব্যবসা দেখেছে শিলিগুড়ি। বেশ কিছুদিন সেই ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছিল শিলিগুড়িতে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশি অভিযান চলে এনজেপিতে। গ্রেপ্তার হয় দুষ্কৃতীরা। যদিও অভিযান প্রায়শই চললেও দমেনি অবৈধ কারবার।এবার জাল কারবারের নয়া হাতিয়ার নকল বা ভেজাল তারপিন তেল যা মূলতঃ ব্যবহার করা হয় রঙ করার সময় বা বার্নিশ ইত্যাদির জন্য। দেখা গেল কেরোসিনের সঙ্গে ভেজাল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল তারপিন তেল।এরপর সেই তেল বোতলে ভরে বিক্রি করা হচ্ছিল বাজার।
শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় এমনই ভেজাল তারপিন তেলের কারবার চলছিল বহুদিন ধরে। অবশেষে বৃহস্পতিবার ৪৪ নম্বরে ওয়ার্ডে আশীক ঘাট রোডে একটি বাড়িতে অভিযান চালায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও ভক্তিনগর থানা।বাড়িটি থেকে হাজার লিটারেরও বেশী ভেজাল তেল মিলেছে।৩ যুবককে আটক করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।জানা গিয়েছে, কয়েকবছর ধরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই ভেজাল তারপিন তেলের ব্যবসা চলছিল।
এদিন বাড়িটি থেকে তেল ছাড়াও প্রচুর খালি বোতল ও ভুয়ো স্টিকার মিলেছে। জানা গিয়েছে, কেরোসিন তেল কিনে নিয়ে এসে সেগুলিতে ভেজাল মিশিয়ে বোতল বন্দি করা হতো।বাজার দরের থেকে কম দামে সেই তেল তারপিন তেল বলে রঙ ও হার্ডওয়্যারের দোকানে পাঠানো হতো।বহুদিন ধরে বাড়িটিতে এই ভেজাল তেলের কারবার চলতো।আরও কেউ এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।
রেশনের কেরোসিন তেলের সাথে সামান্য ডিজেল ও এক প্রকার রাসায়নিক মিলিয়ে চলছে ভেজাল জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহার চলছিল শহর শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায়। খুব কম পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে এই অবৈধ ব্যবসা তে মোটা মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছে এই অবৈধ ব্যবসার কারবারিরা। শিলিগুড়ি সংলগ্ন খড়িবাড়ি অঞ্চল ও নকশালবাড়ি অঞ্চল, ভারত নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি, তে গড়ে উঠেছে এই অবৈধ জ্বালানির কারখানা। এমন কথা শোনা গিয়েছে এই অবৈধ জ্বালানি বিহার ও নেপালে পাচার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির অনেক যানবাহন এই ভেজাল জ্বালানির মাধ্যমে চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খড়িবাড়ি অঞ্চলে এক অভিযান চালায় এবং অভিযান চালিয়ে৫৫০ লিটার অবৈধ জ্বালানি, রাসায়নিকের বস্তা উদ্ধার করে। এবং একজনকে এই কারবারের সাথে যুক্ত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করে।