নিউজ ডেস্ক: খোদ জেলা সভাপতির বাড়িতে ঢুকে গুলি চালানোর খবরে তোলপাড় কোচবিহার। শাসকদলের একজন সর্বোচ্চ নেতার বাড়িতে ঢুকেই যদি দুষ্কৃতিরা এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস দেখায় তাহলে সেই দুষ্কৃতিরা যে সাধারণ নয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। নিশ্চিতভাবেই এদের পেছনে বড়সড় হাত থাকার সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল। কেউ কেউ ঘটনার পেছনে বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি কামতাপুরী লিবারেশন অর্গাইনিজেশন বা কেএলও ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন। কিন্তু বিষয়টি স্রেফ কেএলও-র হুমকি বলে মানতে রাজী নন তাঁরা বলছেন নেপথ্যে রয়েছে তৃণমুলের অন্তর্কলহ।
কোচবিহারের জেলা সভাপতির বাড়িতে গুলি চালানো নিয়ে উঠছে এরকমই অনেক প্রশ্ন। শনিবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। কোচবিহারেরনাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পার্থবাবুর গ্রামের বাড়িতে ছিলেন তাঁর মা, বাবা, দাদা সহ পরিবারের অন্যরা। পার্থবাবু যদিও কোচবিহারে থাকেন। চার থেকে পাঁচজন গাড়িতে করে এসে হামলা চালালেও গুলিতে কেউ জখম হননি। তবে ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা একটি বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই বাড়িতে ছুটে যান পার্থবাবু। বাবা-মা সহ অন্যদের খবর নেন তিনি।
কিছুদিন আগেই কেএলওর তরফে পার্থপ্রতিম রায় ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই এই হামলার ঘটনায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে এর পিছনে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেই বিজেপির কিছু লোকজনকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো নিয়ে জিরানপুরে তৃণমূলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তার জেরেই এই হামলা কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় জানান, চার-পাঁচ জন মিলে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা বাড়ির চত্বরে ঢুকে গুলি চালায়। কারা এটা করেছে তা বলা এখনই সম্ভব নয়। পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।’ যদিও পুলিশের তদন্তের মাঝেই জোর জল্পনায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ।