বিশ্বজিৎ দাস:- পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চম দফার ভোটের দিন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা করে নিল দেগঙ্গা। শনিবার পঞ্চম দফার ভোট চলাকালীন গুলির আওয়াজে দেগঙ্গার শান্তি বিঘ্নিত হল।পুলিশের লাঠি চার্জের কারণে রক্তাক্ত হল দেগঙ্গা।
দেগঙ্গার স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এদিন দেগঙ্গার ২১৫ নম্বর বুথের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি আমবাগানের মধ্যে এলাকারই কয়েকজন বসে গল্প করছিল।সেই সময় আচমকায় সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং তাদের কোনো কথা না শুনেই শূন্যে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে বসে তারা।শুধু তাই নয় এলাকার বাসিন্দাদের লাঠিচার্জও করেছে পুলিশ। যার ফলে প্রায় সাতজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন।
অপরপক্ষে,একই দিনে দেগঙ্গায় ৮১ নম্বর বুথের সোহাইস্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।নদিয়ার শান্তিপুরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।বিশেষত মহিলারা এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষমেষ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
প্রসঙ্গত,রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ভোট চলাকালীন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। শৃঙ্খলারক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়।শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুধে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর গুলিচালনায় নিহত হন ৪ জন।ঘটনার পর শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভোট।
উল্লেখ্য,শীতলকুচির ঘটনার দোষীদের শাস্তির আর্জি জানিয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
এর আইনজীবী এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর আর্জির ভিত্তিতে এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানি হয়।তিনি নিহতদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার অবিলম্বে তদন্ত ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে কোম্পানিকে নির্বাচন কমিশন সেখানে মোতায়েন করেছিল, সেই কোম্পানিকে বকেয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে নিষিদ্ধ করার আর্জিও জানানো হয়।
ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রীর হাতে তা দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কমিশন।