নিউজ ডেস্ক; শিলিগুড়ি : বিদেশে পাচার করার মুখে কয়েক লক্ষ টাকার প্যাঙ্গোলিনের আঁশ সমেত ধরা পড়ল এক পাচারকারী। রীতিমতো ফাঁদ পেতে ওই পাচারকারীকে বামাল গ্রেপ্তার করে বনদপ্তর। তবে আগাম গন্ধ পেয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন। এমনিতেই আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের অন্যতম স্থান হয়ে উঠছে শিলিগুড়ি।বিশেষ করে বণ্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারকারীর দল সক্রিয় হয়ে উঠেছে শিলিগুড়িতে। এদিনের ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।
নিজস্ব সূত্রে খবরের ভিত্তিতে বনদপ্তর আগেই জানতে পারে যে শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে পাচার করা হচ্ছিল প্রচুর পরিমানে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ। এরপরই ফাঁদ পাতে বনদপ্তর। এরপর বুধবার রাতে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অপেক্ষা করছিলেন বনদপ্তরের কর্তারা। বনদপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা জানতে পারি শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার বালাসন সেতু পেরিয়ে পাহাড়ি পথ ধরে ৬জন ব্যক্তি নেপালে ঢোকার জন্য ফিকির করছে। আগে ভাগেই সেখানে হাজির ছিলেন সারুগাড়া রেঞ্জের বন কর্মী ও আধিকারিকরা।’
তবে এই অভিযানের বেশ কয়েকজন পালাতে সক্ষম হয়। একজনকে আঁশ সহ গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম মুর্শিদ আলম। সে আলিপুরদুয়ারের পাতালখাওয়ার বাসিন্দা।’ধৃতের কাছে থাকা একটি স্কুল ব্যাগের ভিতর থেকে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো বিপুল পরিমান প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার হয়। একটি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্ভবতঃ মুর্শিদ বাইকে করে থলের মধ্যে ওই আঁশ নিয়ে এসেছিল অন্যদের তুলে দেওয়ার জন্য। যারা এটি নিতে এসেছিল তাঁরা ঘটনস্থলে এসেই সন্দেহ করে যে এখানে ফাঁদ রয়েছে। তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়ে বটে কিন্তু মুর্শিদকে কোনও কারণে সতর্ক করতে পারেনি। মুর্শেদ ঘটনাস্থলে এসে ধরা পড়ে যায়। ধৃতকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
প্যাঙ্গোলিনের মাংস এবং আঁশের চিন এবং ভিয়েতনামে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্যাঙ্গোলিনের আঁশ থেকে ত্বকের বিশেষ ওষুধ তৈরি হয় চিনে। চাহিদা থাকার উদ্দেশ্যেই নেপাল হয়ে চিনে ওই আঁশ পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। একটি সূত্রে জানা গেছে চোরাবাজারে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ কেজি প্রতি ৩হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা কেজি বিক্রী হয়।