নিউজ ডেস্ক : ভাবনা আগেই ছিল এবছর হবেনা পৌষ মেলা। শনিবার সিলমোহর পড়ল তাতে। হচ্ছেনা পৌষ মেলা। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির আবেগ।রবি ঠাকুরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনো করতে আসে দেশ বিদেশের পড়ুয়া।শান্তিনিকেতনে পালিত বসন্ত উৎসব ও পৌষমেলার নাম জগৎজোড়া।প্রচুর পর্যটক মুখিয়ে থাকেন এই উৎসবগুলিতে ভাগ নেবেন বলে।
তবে এবছর করোনা পরিস্থিতির জেরে শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না পৌষ মেলা।
আনলক ইন্ডিয়া পর্বে বহু ক্ষেত্রেই প্রত্যহৃত হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। উৎসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারীর সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেই জেলা বইমেলা সহ এক গুচ্ছ মেলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত বলেও জানা গেছে। তাই অনেকেরই আশা ছিল শেষ বেলায় হয়ত মেলা হবে। বিশেষ করে এই মেলার সঙ্গে বহু মানুষের জীবন জীবিকা এমনকি বোলপুর এলাকার পর্যটন শিল্পের বিশাল সম্ভবনা জড়িয়ে। কিন্তু শেষ অবধি ‘না’ই চূড়ান্ত হল। যদিও পৌষ উৎসব রীতি মেনেই পালিত হবে। শনিবার কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী পরিষেদর সমস্ত সদস্য ও অধ্যাপকরা। এদিন বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মেলা কমিটির ট্রাস্টি।
এদিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। পৌষ মেলায় যে জমায়েত হয় তাতে কোনওভাবেই দূরত্ব মানা যাবেনা। সেকারণে এবছর পৌষ মেলার আয়োজন করবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ৬ পৌষ অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বৈতালিকের মাধ্যমে পৌষ উৎসবের সূচনা হবে রীতি মেনেই। পরের দিন ৭ পৌষ ভোর ৫টায় বৈতালিকের পর ছাতিমতলায় উপাসনা হবে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পাশাপাশি ৮ পৌষ অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যদিও এখনো সেই আমন্ত্রণের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। যদি একান্তই আচার্য আসতে না পারেন তবে গোটা প্রক্রিয়া ভার্চুয়ালি করা যেতে পারে। একইসঙ্গে এই উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি ৮ পৌষ অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।