নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পড়ুয়ারা যে গভীর সঙ্কটে আবর্তিত হচ্ছে সে দিকে না তাকিয়ে অবাস্তব সব গাইড লাইন আনছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন তথা ইউ জি সি। সেই গাইড লাইনের বিরুদ্ধে এবং সাধারণ পরিবারের পড়ুয়াদের মাথার ওপর থেকে অর্থনৈতিক বোঝা কমিয়ে আনার দাবিতে অভূতপূর্ব বিক্ষোভে সামিল হল ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বা এসএফআই। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দাবি সম্মিলিত পোস্টার হাতে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রতিবাদ সহ দাবী নিয়ে সরব হলেন এস এফ আই সদস্যরা।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১৯ টি কলেজ গেটের সামনে এমন কর্মসূচী হয়। দাবী ওঠে অবিলম্বে শিক্ষা বিরোধী ইউ জি সি’র নির্দেশাবলী প্রত্যাহার করুক। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এমন বিশ্ব জুড়ে মহামারি কারনে দেশের শ্রমজীবী, কৃষিজীবী মানুষের সাথে নওজোয়ান সহ ছাত্র সমাজও আজ আক্রান্ত। এমন পরিবারের একটা বিরাট অংশের ছাত্র সমাজ পরিবারের রুটি রুজির সংকোটের সাথে জর্জরিত। অনেকে পড়ার সাথে গৃহ শিক্ষক সহ অবসর সময়ে পার্ট টাইম কাজ করে শিক্ষা সহ মেস, হোস্টেলের খরচ জোগাড় করতেন। ফলে এমন ছাত্ররাও সংকটে।
প্রতিটি স্থানে দাবী ওঠে লেখাপড়ায় এই সেশনের ফি মকুব করতে হবে। হোস্টেল ফি নেওয়া চলবে না। ফেলোশিপ/স্কলারশিপের টাকা দিতে হবে সমস্ত প্রাপক ছাত্র ও গবেষককে। ৭৫% ক্লাসরুম ও ২৫% অনলাইন শিক্ষার প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। সবার জন্য অনলাইন শিক্ষার সুযোগ সুনিশ্চিত না করে একে বাধ্যতামূলক করা যাবে না – পরীক্ষা বা মূল্যায়ন অনলাইনে করা যাবে না। লকডাউনের পর সবার জন্য এক্সট্রা ক্লাসের মাধ্যমে সিলেবাস শেষ না করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
মেদিনীপুর শহরে মেদিনীপুর জলেজ, কে ডি কলেজ, গোপ মহিলা কলেজ, চাঁইপাঠ কলেজ, ঘাটাল, খড়্গপুর কলপজ, চন্দ্রকোনারোড, গোয়ালতোড়, চন্দ্রকোনা টাউন, বেলদা, ডেবরা, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ, গোপীবল্লভ পুর, শিলদা, এমন ১৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এস এফ আইয়ের সদস্যরা নীরব বিক্ষোভে সামিল হন।