নিজস্ব সংবাদদাতা: বিদ্যালয়ের পরিবর্তে নিজের বাড়িতে মিড-ডে-মিলের সামগ্রী রেখে জন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন এক প্রধান শিক্ষক। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই প্রধানশিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার অন্তর্গত একমালি গ্রামের এই ঘটনায় রবিবার দিনভর চরম উত্তেজনা ছড়ায় দাঁতন এলাকায়। কয়েকঘন্টা ধরে ওই শিক্ষকের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসতে হয় দাঁতনের জয়েন্ট বিডিও ও স্থানীয় পুলিশকে। উত্তেজিত জনতার হেনস্থার হাত থেকে প্রধানশিক্ষককে বাঁচাতে তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, শনিবার নাগপাড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিলের সামগ্রী আসে। নিয়ম অনুসারে ওই সামগ্রী স্কুলেই রাখার কথা কিন্তু স্কুলের দেড় কিলোমিটার আগেই নিজের বাড়িতে তা নামিয়ে নিজের বাড়িতে নামিয়ে নেন প্রধানশিক্ষক। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এদিন সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে ভিড় জমান অভিভাবকরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। পরে প্রধান শিক্ষকের বাড়ি থেকেই মিড ডে মিলের চাল, ডাল, সোয়াবিন, ছোলা, সাবান উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক আগেও এধরনের কাজ করেছেন।
যদিও ওই প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, যখন ওই সামগ্রী ট্রাক্টরে করে আনা হয় তখন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। অত জিনিস নিয়ে ভেজা রাস্তায় ট্রাক্টর স্কুল অবধি যাবেনা বলেই যাবেনা বলেই ট্রাক্টর থেকে নামিয়ে বাড়িতে রেখেছিলাম। স্টক লিস্ট আছে। মেলালেই প্রমান হয়ে যাবে। আমি মাল সরিয়েছি কিনা। ” খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। জনতার মধ্যে থেকে রব ওঠে, সব মিলেমিশে রয়েছে। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় দাঁতন থানার পুলিশ। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন দাঁতন ১ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও তারক অধিকারী। তিনি কথা বলেন ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। সাংবাদিকদের জয়েন্ট বিডিও বলেন, ‘ আমি খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত করছি। কেন উনি চাল নামিয়েছেন তা লিখিত আকারে বয়ান দিতে বলেছি। তবে আইনত চাল এখানে নামিয়ে ঠিক করেননি। বাকিটা তদন্ত করেই জানা যাবে। দাঁতন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে পুলিশ আধিকারিকদের কাছে ওই প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেছেন যে নিজের বাড়িতে চাল নামিয়ে ঠিক কাজ করেননি তিনি।”