ভবানী গিরি: শুধু ভারত নয়, বিশ্বের তাবৎ প্রাচীন জনজাতি গুলির মধ্যে ঈর্ষণীয় ভাষা হল সাঁওতালি ভাষা। এই ভাষার নিগূঢ় বন্ধন হাজার হাজার বছর ধরে একই সূত্রে বেঁধে রেখেছে এই জনজাতিকে। আদি এবং অবিকৃত এই ভাষার কারনে ভারতের তাবৎ সাঁওতাল সন্তান আজও একই সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছেন। এই ভাষার গরিমাকে আরও বৃদ্ধি করেছেন পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু। কথ্য ভাষাটিকে উজ্জ্বল করেছেন অলিচিকি হরফ সৃষ্টি করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার , ২২ শে ডিসেম্বর সেই গরিমার সাঁওতালি ভাষা দিবস।আর এই সাঁওতালি ভাষা দিবস পালন করলো গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়ের।আজ সকাল থেকে কলেজ মাঠে কলেজ কতৃপক্ষ থেকে সাঁওতালি ভাষার উপর নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেমন অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন তেমন বাইরে থেকে বিভিন্ন নামি আদিবাসী সঙ্গীতের ব্যান্ড অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিন সুবর্ণরেখা কলেজের এই সাঁওতালি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দুলাল মূর্মূ, এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁওতালি ভাষা বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক শ্যামচরন হেমব্রম। অধ্যাপক শ্যামচরন হেমব্রম এই সাঁওতালি ভাষা দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন- বহু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ২০০৩ সালে সাঁওতালি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তপশীলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেই থেকে সাঁওতালি ভাষার সামগ্রিক উন্নতিসাধনের জন্য প্রতি বছর সারা দেশে ২২ শে ডিসেম্বর সাঁওতালি ভাষা দিবস পালিত হয়।