নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের বালি বহনকারী যানের বালি হল একটি তাজা প্রান। বৃহস্পতিবার বিকালে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানার গড়ধরা গ্রামে এক ২০বছরের যুবককে বালি বহনকারী লরি পিষে দিলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় জনতা। জনতার রোষের বলি হয় চার চারটি লরি। ভাঙচুর করার পর লরি গুলিতে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ঘটনাস্থল সাঁকরাইল থানা কেশিয়াপাতা থেকে ১৬কিলোমিটার দুরে রোহিনী থেকে কুঁকড়াখুপি যাওয়ার রাজ্য সড়ক গড়ধরা বাজারের কাছে। সাঁকরাইল ব্লকের আঁধারি গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়ধরা গ্রামেরই বাসিন্দা রঞ্জন সিং বাজারে এসেছিলেন সাইকেল চালিয়ে। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লরির ধাক্কায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পড়ে যায় রঞ্জন। তখনই লরিটি তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়।
জনরোষ |
চোখের সামনে তরতাজা যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গড়ধরা গ্রামের রাস্তায় প্রতিনিয়ত শয়ে শয়ে বালি বহনকারী লরি, ডাম্পার, ট্রাক্টর ইত্যাদি যান দাপিয়ে বেড়ায়। যার ফলে পথচলতি সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ার পাশাপশি ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। বহুবার প্রশাসন, পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। এরপরই বৃহস্পতিবারের ঘটনায় যেন আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়ে প্রথমে দাঁড়িয়ে পড়া বালি ভর্তি লরিগুলোতে ভাঙচুর চালায় এবং একের পর এক অগ্নিসংযোগ করতে থাকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাঁকরাইল থানার পুলিশ রোহিনী ক্যাম্প থেকে পৌঁছায়। জনতা পুলিশকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়। ইট পাটকেল ছুটে আসে পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে। এরপরই ঝাড়গ্রাম পুলিশ বাহিনী থেকে বিশেষ বাহিনী ছুটে যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। বিপরীত দিকে আশেপাশের গ্রামগুলি থেকে আরও মানুষ জড়ো হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে মৃতদেহ পড়ে থাকে রাস্তার ওপরেই। এরপরই পুলিশ লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে। প্রায় ২ঘন্টা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
উল্লেখ্য সাঁকরাইল এলাকা জুড়ে সুবর্ণরেখা ও ডুলুং নদীর বালি খাদানগুলি ঘিরে বালি মাফিয়াদের দাপাদাপি প্রচণ্ড রকমের। ডুলুংয়ের বালি অন্য বালির মোটা হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বালি খাদানগুলির নিয়ন্ত্রনকে ঘিরে শাসকদলের অভ্যন্তরেও লড়াই রয়েছে প্রবল। আর অন্য জায়গার মতই বালিকে কেন্দ্রকরে সাঁকরাইলে বালি মাফিয়া পুলিশ ও শাসকদলের নেতাদের যোগসূত্র রয়েছে বলে আভিযোগ। আর সে কারনেই জনতার আভিযোগ গ্রাহ্য হয়নি এখানে এমনই জায়গা থেকেই বৃহস্পতিবার জনতার ক্রোধ ফেটে পড়ে বলে অনুমান করা হচ্ছে।