নিজস্ব সংবাদদাতা: ফিরে গেছেন ব্যারাকপুর থেকে প্রশিক্ষন নিতে আসা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ৪৪০ জন জওয়ানের বেশিরভাগ অংশই। মোট ৮৩ জন করোনা আক্রান্ত জওয়ান পশ্চিম মেদিনীপুরের ২টি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি। ভর্তি রয়েছেন প্রশিক্ষনের জন্য বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আরও ৩জন। বুধবার সেই তালিকায় সংযুক্ত হল ১৩টি নাম। বুধবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে যার মধ্যে ১৩জন রয়েছেন সালুয়ার আর এই ১৩জনের ১১জনই ইস্টার্ন ফ্রন্ট ইয়ার রাইফেল বা ইএফআরের পদাধিকারি প্রশিক্ষক।
গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম সালুয়া। বিভিন্ন জেলা থেকে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষনরতদেরই পরপর সক্রমনের খবর আসছিল। ৪৪০জনের এই দলটির মধ্য থেকে আক্রান্তদের বাদ দিয়ে সবাইকে নিজের নিজের জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অসুস্থরা ভর্তি হাসপাতালে। প্রশিক্ষন বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক হয়ে যাওয়াই উচিৎ ছিল সালুয়ার কিন্তু দুর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ছেনা ইএফআর সদর দপ্তরের।
বুধবার খবর মিলেছে ১১ জন প্রশিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যাঁর প্রত্যেকেই ইএফআর বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত। এতদিন রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাই সংক্রমিত হচ্ছিলেন। সংক্রমন সীমাবদ্ধ ছিল তাঁদের মধ্যেই কিন্তু এবার ইএফআর প্রশিক্ষকরা থাকেন পরিবারের সাথে, আবাসন কিংবা লোকালয়ে ফলে সংক্রমন কতটা গভীরে ছড়িয়েছে তাই নিয়ে উদ্বেগে পুলিশ প্রশাসন।
বুধবার ১১জন প্রশিক্ষকের সাথে আক্রান্ত হয়েছেন দুই রাঁধুনিও, এর আগেও তিনজন রাঁধুনি ও সহায়ক আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই প্রশিক্ষন পর্বে ৯৯ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জন সালুয়া বা তার সংলগ্ন এলাকায় হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ অবশ্য এঁদের পরিবার সদস্যদের চিহ্নিত করে আইসলেশনের পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করছে। ইতিমধ্যেই সালুয়া এলাকায় দু’সপ্তাহের লকডাউন বলবৎ করা হয়েছে।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন করে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন যারমধ্যে রেল, ইএফআর ও খড়গপুর শহর মিলিয়েই রয়েছেন ২২ জন। বাকি ২০ জন ঘাটাল দাসপুর বেলদা শালবনী দাঁতন সহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছেন। সব মিলিয়ে খড়গপুরের মতই সামগ্রিক ভাবে জেলার অবস্থাও খুব একটা স্বস্তির জায়গাতে নেই।