নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝমঝমিয়ে কাঁদছে আকাশ, ধারা শ্রাবনের মধ্যেই দমদম বিমানবন্দর থেকে ১৪০ কিলোমিটার রাস্তা বেয়ে মেদিনীপুরের লাইনে আনা হল সবংয়ের বীর জওয়ান শ্যামল কুমার দের পার্থিব শরীর। কলকাতা থেকে সিআরপিএফের ১৬৭নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা নিয়ে এসেছেন দেহ।
এরপরের দায়িত্ব ১৬৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের। রবিবার তাঁরাই সামলাবেন শেষকৃত্যের কাজ আর এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেদিনীপুরে রেঞ্জের ডিআইজি অপারেশন পঙ্কজ কুমার। তাঁরই তত্ত্বাবধানে রবিবার সবংয়ের সিংপুর গ্রামের বাড়িতে অনন্ত যাত্রায় চলে যাবেন অনন্তনাগের শহীদ শ্যামল।
কাশ্মীরের হাসপাতালে ময়নাতদন্তের কাজ শেষ হওয়ার পর বীর জওয়ান শ্যামলের দেহ প্রথমে আনা হয় শ্রীনগরের হুমহামায় সিআরপিএফ হেড কোয়ার্টারে। নিয়ম অনুযায়ী এখানেই প্রথম জয়মাল্য পরিয়ে দেওয়া হয় শহীদদের গলায়। তারপর সযত্নে কফিন বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীনগর বিমানবন্দরে। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে দিল্লি এবং দিল্লি থেকে আরেকটি বিশেষ বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ এসে পৌঁছায় দেহ।
সেই দেহ নিয়ে ১৬৭নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা আসেন কলকাতার হেডকোয়ার্টারে। এখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরা রওনা দেন মেদিনীপুরের দিকে। রাত ১টা নাগাদ সেই দেহ মেদিনীপুরের মাটি ছোঁয়ার সময় প্ৰিয় সন্তানের জন্য অঝোর ঝোরে কাঁদছে আকাশ।
রাতেই ১৬৭নম্বর ব্যাটালিয়নের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন ১৬৫নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। রবিবার সকাল ৬টায় ডিআইজি পঙ্কজ কুমারের নেতৃত্বে দেহ যাত্রা শুরু করবে সবংয়ের উদ্দেশ্যে। ৭টায় সিংপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মিত মঞ্চে শহীদকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কফিন থাকবে দেড় ঘন্টা।
সাড়ে আটটায় জাতীয় পতাকায় মোড়া সেই কফিন নিয়ে যাওয়া হবে শ্যামলের বাড়িতে। তারপর বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই গান স্যালুট দিয়ে দেহ তুলে দেওয়া হবে চিতায়। ছবি-কলকাতা বিমানবন্দর