নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ মেশ কড়া হুঁশিয়ারির পথেই হাঁটল গুজরাট সরকার। মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হলেই পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নিদান দিয়েছে আহমেদাবাদ পুরসভা। এমনকী তিন বছরের জেলও হতে পারে। সংক্রমণ রুখতে মহামারি আইনের অধীনে এই নিদান দেওয়া হয়েছে বলে খবর। করোনা পজিটিভে জোর ধাক্কা খেয়েছে মোদির গুজরাট মডেল। দেশের মধ্যে এগিয়ে থাকা রাজ্যের দাবিদার গুজরাটে রবিবার দুপুর অবধি ৪৯৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৩জনের। আশংকার কারন ঘটিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬০জন সংক্রমিত হয়েছে। রোগমুক্ত হয়েছেন ৩১ জন। শুধুই তাই নয়, অবস্থা ক্রমশঃ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খুবই খারাপ অবস্থা আহমেদাবাদের। পরিসংখ্যান বলেছে, রবিবার পর্যন্ত আহমেদাবাদে ২৬৬ জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা গুজরাটের মধ্যে সর্বোচ্চ। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রনে এবার কঠোর নির্দেশ জারি করল আহমেদাবাদ পুরসভা। রবিবার আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কমিশনার বিজয় নেহরা জানান, আহমেদাবাদ পুরসভা অঞ্চলে সোমবার সকাল ছ’টার পর থেকে রাস্তায় বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় মোটা টাকা জরিমানা দিতে হবে অথবা হাজতবাস করতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাজার থেকে কেনা মাস্ক না পরলেও চলবে। বদলে বাড়িতে তৈরি করা মাস্ক, নিদেনপক্ষে রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকলেও চলবে। আমজনতার পাশাপাশি দোকানদার, সবজি বিক্রেতা সকলকেই এই নিয়ম মানতে হবে।
ইতিপূর্বে, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, দিল্লিতেও একই ধরণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
কিছুদিন আগে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশিকায় বদল করে কেন্দ্র। শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত, স্বাস্থ্যকর্মীরা নন, বাইরে বের হলে সকলকেই মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয় কেন্দ্র সরকার। অভিযোগ উঠছে, বাজারে ক্লিনিকাল মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাড়িতে তৈরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দেয় কেন্দ্র সরকার। অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছিল. যারা শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু শ্বাসকষ্টের ধাত রয়েছে, তাঁরা মুখ ঢেকে ঢেকে রাখুন। বিশেষত বাড়ির বাইরে বের হলে মুখ ঢাকার ব্যবস্থা করুন। সকলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এই পদক্ষেপ। তবে মাস্ক অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের পরামর্শ বাড়িতে তৈরি মাস্ক তৈরি করুন মানুষ। যদিও প্রশ্ন উঠেছে যে ভারতের ছেঁড়া কাপড়ও জোটেনা সেই গরীব ভারত বাড়ীতে মাস্ক বানাবে কী করে ?