Homeসাহিত্যরবিয়াণীঅভিজ্ঞতার আলোকে লিটিল ম্যাগাজিন

অভিজ্ঞতার আলোকে লিটিল ম্যাগাজিন

✍️কলমে: দুর্গাদাস মিদ্যা

( প্রথম পর্ব)

যে কোন পথিকের পথ চলার অভিজ্ঞতা থাকে তা সে ভাস্কোদাগামা হোন কলম্বাস হোন অথবা স্বামী বিবেকানন্দ বা রামমোহন হোন,
এই অভিজ্ঞতার মধ্যে যেমন পথ চলার কষ্ট থাকে তেমনি থাকে অজানাকে জানার আনন্দ। লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকের পথ চলাও আবিষ্কারের আলোকবর্তিকা । আমরা সকলেই জানি প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর একটা
পর্ব থাকে ।
আর সেই পর্বটি তৈরি হয় একটা বিশেষ লগ্ন মাথায় রেখে। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে উল্লসিত হতে চায় না এমন মানব জীবন নেই বললেই চলে। এই যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কথায় ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ —সে আনন্দধারার রসে অবগাহন করাটাই জীবনের প্রধান লক্ষ্য এবং কর্তব্য । আর সেই কর্তব্যের তাগিদেই কেউ গান গাইছেন, কেউ নাচ করছেন, কেউ খেলাধুলো করে আনন্দ দিচ্ছেন এবংনিচ্ছেন, কেউ ভ্রমণ করে অতৃপ্ত হৃদয়কে তৃপ্ত করছেন, অর্থাৎ আনন্দের উৎস থেকে এক আঁজলা জল তুলে হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণ করছেন । ঠিক তেমনি যারা সাহিত্যরস পিপাসু তারাও সেই রসাস্বাদন পেতে এবং শুধু পেতে নয় দিতে এগিয়ে আসেন সৃষ্টির ডালি নিয়ে । ফুলের সৌন্দর্য অনুভব করতে গেলে যেমন গাছের পরিচর্যা করতে হয় অর্থাৎ মালীর কাজ করতে হয় তেমনি সাহিত্যের বাগানে সৃষ্টির শতপুষ্প বিকশিত করতে হলে সেই সাধনক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হয়। আর এই সাধনক্রিয়াকে বাস্তবায়িত করতে হলে সাধন ভূমির প্রয়োজন হয়। সাহিত্যের সেই সাধন ভূমির নাম লিটল ম্যাগাজিন। প্রথমেই বলেছি, যেকোনো পথিকের পথ চলার অভিজ্ঞতা থাকে, তেমনিএকটি লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকেরও পথ চলার অভিজ্ঞতা থাকে আর তাই নিয়ে দু চার কথা চার কথা বলার একটা ছোট প্রয়াস নিতে চাই।

প্রথমেই বলে নিতে চাই –লিটল ম্যাগাজিনের একটা নিজস্ব ইতিহাস আছে। জন্ম লগ্ন আছে, জন্মাবার একটা কারণ আছে, পদ্ধতি আছে, প্রকরণ আছে।
প্রকরণের দিক নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন অনুভূত হওয়া বিচিত্র কিছু নয় । এটা তো স্বীকার না করে উপায় নেই, যে শিক্ষার প্রসারের ফলে মানুষের জীবনের চালচিত্রে যেমন অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সংকট নিরসনের একটা প্রয়াস নিরন্তর চলছে, তেমনি চলছে মনের বাগানে ফুল ফোটানোর এক অনন্ত বাসনা। আর সেই বাসনার বাস্তবায়িত রূপ প্রকাশিত হচ্ছে সৃষ্টিশীল লেখার মধ্যে।
(চলবে)

RELATED ARTICLES

Most Popular