✒️কলমে: মণিশঙ্কর
যেসব গল্প শুধুই মেঠো,
যেসব শুধুই সোঁদা,
যে ফুলটি অযত্নে ফোটে,
তার মিটিমিটিতেই
যত ঝোঁক ছেলেটির।
দ্যাখে, আর বলে,
আমরাও একদিন গাছ হবো–
মাটির গভীর থেকে
তুলে নেবো নাইট্রোজেন;
বৃষ্টি হবো চাতকের–
নদীর কাঁকাল থেকে
ছেঁচে নেবো মাটিজনমের
গুপ্ত ইতিহাস–
ভালোবাসা, আসলে একটি
নীরব লেনদেন!
ঠিক এ সময় বৃষ্টি এল।
বৃষ্টি হল পাতা থেকে ডালে–
বৃষ্টি এল চোখের তারায়।
ভিজল তাতে শুকনো কথা
সুপ্ত বীজের গুপ্ত ব্যথা!
দিগন্তের কোলে হাত পেতে
মেয়েটি গাইল,
বীজ গ্রহণের গান।
বীজ দাও বীজ দাও…
আমি জলের আশ্রয় হবো।
দুঃখ হবো যত সৃজনের–
একটি আকাশ মুছে গেছে
একটি আকাশ গড়ে নেবো
নীল বেদনের।
এমনি করে নিরুদ্বেগে
বিকেল গড়ায়–
রক্তিম হল দিগন্ত।
ছেলেটি আর মেয়েটি
গড়ে আবোলতাবোল,
নদীচরে বেলা বয়ে যায়।
বেলা বয় বেখেয়ালে;
স্বপ্নগুলি সরে সরে হায়:
কখন ছেলেটি মাটি ভোলে!
কখন মেয়েটি হাত পেতে
স্বপন হারায়!
এখন শুধু তপ্ত বাতাস
ব্যথাদীর্ণ ঘ্রাণে
কানে কানে কেঁদে ফেরে
বরষণ বিহীন অভিমানে।
বরষণ নেই বরষণ নেই
স্তব্ধ ব্যাঙেরা ডাকে
আয় ছুঁয়ে যা সোনার মেয়ে
ফেলে যাওয়া গাছটাকে
ছুঁয়ে দ্যাখ গাছেদের
প্রাণবাহী জাইলেম–
এই মরুতে বুনবি প্রেম
সেই আশায় ঘুরে এলেম।
তুই হবি ক্লোরোফিল
আমিও ফুলের বেদনায়–
একবার শুধু আনমনে
হাসবি। দেখিস
ফুল হয়ে ফুটতে পারি
তোর একলা বারান্দায়…