✍️কলমেঃ দীপ মুখোপাধ্যায়
(এক)
স্মৃতিমদির আচ্ছন্নতায় কিছু চরিত্র আসে। কিছু আবার চলেও যায় গন্তব্যহীন যাত্রাপথে।যৌবনকালের এক অনন্ত মুগ্ধতার প্রবহমানতায়। অবস্থার গতিকে আমরা ফের কাছাকাছি আসি। একে অপরের খোঁজখবর নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি। মুখের দিকে তাকাই,সেই মুখ যতই ভঙ্গুর হোক না কেন। চকিতে উদ্ভাসিত হয় সমুদ্রসমান ভালোবাসা। চলে খরাখিন্ন আলিঙ্গন।।
পারস্পরিক পর্যবেক্ষণ থেকে ঝরে পড়ে গ্রাহ্য ও আস্বাদনযোগ্য সময়ের সংজ্ঞা।
তবু মনে হয় সবটাই যেন অলীক।অন্ধকার দিয়ে ঘষা আলো। রোজ রোজ একটা না একটা চেনা পৃথিবী।অনেকেই দাঁত,নখ আর নাড়িভুঁড়ি সামাল দিতে ব্যস্ত।কেউ বা আবার ঘিলুমনস্ক। তবু হাহাকার জারিয়ে তোলে আমাদের সম্পর্ক। এই অভিযাত্রায় অস্তিত্ব উদ্বোধিত আত্মবিচারে অফুরন্ত জীবন খুঁজতে থাকি। এটাই হয়ে ওঠে এক পরিপূরণ খেলা। এমন বালুকাহৃদয় আহ্লাদীরাই যৌবন যাপন করি। তবু মনন-প্রজ্ঞা ভুলিয়ে দেয় সময়কে। মুখ সরাতে পারি না প্রতিস্পর্ধী দর্পণ থেকে। উজানে ভেসে যায় স্মৃতিবেদনার কিছু কুচো ফুল। সেই সহজিয়া স্বপ্নপল্লবকে শুধুমাত্র ছুঁতে পারি অমোঘ হৃদয়াবেগ দিয়ে। স্মৃতির চিত্রভান্ডার থেকে খাবলে নেওয়া এই আত্মচর্চা কখনও মেদুরতায় নুব্জ ফের নির্বাক ক্রোধে কম্পমান।
যৌবনচর্চা নিয়ে সম্যক ঘাঁটাঘাঁটি করার আগে প্রাথমিক কান্ডজ্ঞান বিস্তারিত করি। এই রচনা পাঠককে কৃতার্থ বা আপ্লুত করানোর প্রচেষ্টা নয়।আমি পারস্পরিক পৃষ্ঠকন্ডূয়নের অছিলাও ফাঁদছি না। শুধু চাই,এই কুচো যৌবন আকাঙ্খার পল্লবিত রূপ যেন হয়ে ওঠে সার্বিক উপভোগের সামগ্রী। তবুও হাত কাঁপে। সাত-পাঁচ ভাবোন লাগে। এট্টু সবুর করেন।দেহি কী লেখন যায়। এ কোনও তালেবরি ধইন্য পুরুষের জৈবন বেত্তান্ত নয়। এই স্মৃতি বড় পাষাণ পিকিতির। বুঝছি,আপনাগো রসগ্রহণে বিঘ্ন ঘটতেছে।একটু প্রাক-কওন তো লাগেই।বেয়াকই যদি নিজে বোঝবেন এই কলমচী তবে আছে কীসের লইগ্যা?
(ক্রমশ প্রকাশ্য)