✍️কলমে: রিনা রাণী দাস
ঋতুমতি
বাহুর আল খুলেই
নদীর মুখের কথা কয় ঘাটের সর্দার,
চা-বিস্কিট, হরেকরকম চিৎকারে কাঁপে তনু -মন।
অচেনা নদীতে চেনা-মুখ…
পিদিমের জ্বালামুখে উরু উরু দুরু প্রাণ,
ডুব দেয় সারাক্ষণ।
বাদাম উড়িয়ে মাঝি একা একা খোঁজে…
ভাটিয়ালি বসন্ত বাতাস,
ভিতরে কাঁপন তুলে খুলে যায় গমের বাগান।
আর জিমনেসিয়াম থেকে তাগড়া জোয়ান হাসে…
রজঃস্বলা ছয়দিন পর।
নদীর হা-মুখ জানে_পৃথিবীর সব দেনা-পাওনা।
শঙ্খলাগা
এ কুয়াশা আঁচলের ভিতর গীত্গোবিন্দের আলাপ
বিষাদী গোধূলী সান্ধ্য-শাঁখ, বাজছে তন্ত্রীর তলায়,
বিদুষী হাজারো বৎসরের শোক যাপন ক্ষার, কলায়!
বিরহ পদাবলীর বুকেই তুক-তাকের দাও জোলাপ।
কথারা আজও উপন্যাসের গল্পে মশগুল, কারণ
কবি রবিঠাকুরের কলম, চায় শোভনলাল বালক;
নিজেকে দেখে লাবণ্য-দুখ, গাঁথছে গল্পের পালক
তবু চলে বড়ু চণ্ডীদাস…শ্যাম-রাধার প্রেম, হনন।
মানে না কোনো বাধার প্রাচীর…উচ্চ পর্বত-সাগর,
ভালোবাসা বুঝে সুপ্ত মন–মর্ত্য সুখ বিশ্বাসের…
কাননে গাঁথে ফুটন্ত ফুল, সব সময় আশ্বাসের–।চোখে-মনে-হৃদয়ের কলুষ! ছাড় অবিশ্বাসের নগর।
নিরহ-বোকা কুলুঙ্গিতেই–ইচ্ছে হত্যায় কী রাজ?
পৃথিবী বাকলে শঙ্খচূর…ধরছি হাত, ছাড়ব ন’য়াজ।