✒️কলমে: অলক জানা
———————————————————-
কিছু বাক্য আছে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ জীবনে একটিবার হলেও উচ্চারণ করেন। অনেকটা অভিমান আত্মরক্ষার মতো মহৌষধ, যা সেবন না করলে বুঝি আর সহ্য হচ্ছে না। সেই সব বাক্যের সঙ্গে মানুষের দেখা সাক্ষাত আবার সব সময় হয় না। পরিস্থিতি অন্তর্ঘাত বিষণ্ণতা বেসামাল হলেই সেই সব বাক্য হাজির হয় যথাযথ কর্তব্য পালন করতে। এটা সত্যি যে ওটুকুই তখন একমাত্র সুখ, শান্তি। এক কথায় সমস্ত অসহিষ্ণু অসহ্যের থেকে পালিয়ে বেড়ানো একস্বস্তি মানসিক আস্বাদ।
“আমাকে একটু একা থাকতে দাও। ” দিনযাপনের প্রতিমুহূর্তে ঘাত প্রতিঘাত আমাদের কাছে একটি অন্যতম ছায়াসঙ্গী। এদের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে আমৃত্যুর পরমায়ু। যখন যেভাবে আমরা খানিকটা ঘা পেয়ে থাকিনা কেন নির্দ্বিধায় সশব্দে বা অস্ফুট ভাবে উচ্চারণ করি “আমাকে একটু একা থাকতে দাও।” এই বাক্যের মাধ্যমে বক্তা শ্রোতা উভয়েই রক্তপাতহীন বিধ্বস্ত হয় নিঃসন্দেহ বিশ্বাসযোগ্য ঘটনা।
পৃথিবী এখন ভাইরাস আকালের শাসনে কাবু । সেই আকালের সঙ্গে না পেরে ওঠার জন্য হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য প্রিয়জন। অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে একা থাকাকেই মনেপ্রাণে ছাই ফেলতে ভাঙা কুলোর মতো শেষ সম্বল মনে করেছেন পৃথিবীর তাবৎ স্বাস্থ-আধিকারিকগণ। তো অভিমানের কোন আর জায়গা নেই ” আমাকে একটু একা থাকতে দাও। ” কেবল আপনার আমার জন্য না। সারা পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য আজ সত্যি একা থাকা খুব প্রয়োজন। আপনাকে সকাতর অনুরোধ, আপনি এখন বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে একাই থাকুন !
দু একটি প্রজাতি ছাড়া প্রায় পাখি সমাজ যে যার মতো বাসা বাঁধে। পারস্পরিক ছোঁয়া আচ্চার অনেক যোজন দূরে। সেই ধারণা পাথেয় করে আমাদের চলতে হবে আরো বেশকিছু দিন। কারণ যেখানে বেঁচে থাকার আশ্বাসটুকু হারিয়ে যাচ্ছে সেখানে একা থাকার সিদ্ধান্তটাই একমাত্র হাতের পাঁচ। “আমাকে একটু একা থাকতে দাও ” এই অভিমানী বাক্যটি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে আসুন
সবাই মিলে একটু অন্যভাবে উচারণ করি—-আমরা এখন একটু একা থাকতে চাই।