ওয়েব ডেস্ক : সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই তাঁর নাম খবরের শিরোনামে আসছে। যত দিন যাচ্ছে তত জটিল হচ্ছে রহস্য। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন খবর প্রকাশ্যে আসছে। এর মাঝেই রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের জল্পনা ফুটে উঠেছে। জানা গিয়েছে, দু-একদিনের মধ্যেই রিয়াকে সমন পাঠাতে চলেছেন সিবিআই। এমনকি তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। সোমবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কে কে সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিং। রিয়াকে গ্রেফতারের জল্পনা একেবারেই উড়িয়ে দেননি তিনি।
এবিষয়ে বিকাশ সিং জানান, শুরুতেই রিয়াকে গ্রেফতার করা হবে না। সবদিক বিবেচনা করে তবেই সিবিআইয়ের তরফে রিয়াকে সমন পাঠানো হবে। রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের পর যদি রিয়ার প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই আধিকারিকরা সন্তুষ্ট না হন, তবে সেক্ষেত্রে তাঁকে গ্রেফতার করা হতেই পারে। তবে এবিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত রিয়া চক্রবর্তীকে সমন পাঠানো হয়নি বলেই দাবি রিয়ার আইনজীবীর। অন্যদিকে, সিবিআই তদন্তে খুশি সুশান্তের পরিবার, এমনটাই জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী বিকাশ সিং৷ এদিকে সুশান্ত মামলায় তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং রাঁধুনি নীরজকে টানা ৩ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। একই সাথে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককেও৷ এদিকে সোমবারই কুপার হাসপাতালে পৌঁছে সেখানকার চিকিৎসক ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি দিন কয়েক আগেই সুশান্তের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁর মৃত্যুর ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেছিলেন গোয়েন্দারা।
এই সকল ঘটনার মাঝেই আরও কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সুশান্তের জিম প্রশিক্ষক সুনীল শুক্লা এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং রিয়ার মহেশ ভাট দুজনে মিলেই সুশান্তকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী নিয়মিত সুশান্তকে ওষুধ দিতেন। এমনকী সুশান্তের বাড়িতে এমন কেউ ছিল যে কিনা সুশান্তের বাড়ি থেকে রিয়া চলে যাওয়ার পরেও তাঁর কথায় সুশান্তকে নিয়মিত ওষুধ দিতেন। এদিকে এরই মাঝে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্যবুঠে এসেছে। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর ন’দিন পরেও তাঁর ফোন সচল ছিল। এমনকি ৯ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত সেই ফোন থেকে একাধিকবার ইন্টারনেট কলও করা হয়েছে। কিন্তু কে দিশার ফোন ব্যবহার করছিল? কার কার কাছে ইন্টারনেট কল গিয়েছে? কিভাবেই বা দিশার মৃত্যুর পরও তাঁর ফোন সচল ছিল? তা নিয়েই এই মূহুর্তে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে।