নিজস্ব সংবাদদাতা: মুক্তির আনন্দ যেন ফেটে পড়তে চাইছে জীবন। ১৪দিন পরে বাইরের দুনিয়া, সবুজ ঘাসে পা! কেউ নারী, কেউ পুরুষ কেউবা আবার শিশু। লকডাউন ঘোষনার পর কাজ হারিয়ে কিংবা বেড়াতে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন ভিন রাজ্য থেকে। কিন্তু হাতের সামনে বাড়ি হওয়াতেই প্রশাসন ফিরতে দেয়নি। নিয়ে যাওয়া হয় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। কয়েকজন ভিন রাজ্যেরও বাসিন্দা। এরাজ্য হয়ে ফিরতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। ইসিএল সালানপুর রিজিওনাল হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এভাবেই ছিলেন মোট ৩০জন। রবিবার ছুটি মিলল সবার।
প্রশাসনের তরফেই করা হয়েছিল গাড়ির ব্যবস্থা । সেই গাড়িতে করেই তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হল। এতদিন এখানেই চারবেলা খাওয়া দাওয়া ও বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল টিভি মারফৎ। প্রতিদিনই চিকিৎসকরা এসে পরীক্ষা করে গেছেন। মনোচিকিৎসক কাউন্সিলিং করাতেন যাতে না কেউ অবসাদে চলে যায়। তারপর নিরাপদ বলে ঘোষনা। আর শনিবার রাত থেকেই মুক্তির বিনিদ্র রাত কাটিয়ে অবশেষে বাইরের পৃথিবীতে পা রেখেই খুশিতে ফেটে পড়লেন ৩০জন।
এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল সালানপুর ব্লকের ক্ষুদিকা গ্রামের বাসিন্দা। এঁদের বাড়ি অবধি পৌঁছে দিয়ে কয়েকজন ভিন রাজ্যের বাসিন্দাকে নিকটবর্তী আত্মীয়দের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। কারন লকডাউন শেষ না হলে তারা বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন না। এদিকে ক্ষুদিকা গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ি ফেরার পর তাঁদের দেখে আনন্দে ছুটে আসে গোটা গ্রাম। কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের কয়েকজন জানিয়েছেন, আমাদের মধ্যেও একটা আতঙ্ক কাজ করত যেন মনে হত আমাদেরও করোনা ধরা পড়ে যাবে। আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। আর সবাইকে বলতে চাই কোয়ারেন্টাইন মানেই কিন্তু খারাপ কিছু নয়।