নিজস্ব সংবাদ: গত ১৩ মাসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২১ জনে। এরমধ্যে শুধু খড়গপুর শহরেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৮০ জন অন্যদিকে মেদিনীপুর ৫০ ছুঁয়ে ফেলার পথে। গত কয়েকদিন ধরেই ৭০ থেকে ৮০ র মধ্যে ঘোরা ফেরা করছিল আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু সোমবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে আক্রান্ত ২২০ ছাপিয়ে গেল যে অতীতে কোনোও দিনই হয়নি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট মোতাবেক সোমবার আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় ১৫৬ জনের পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে আ্যন্টিজেন ও ট্রুনাট পরীক্ষায় ৫০ ও ১৫ জনের পজিটিভ এসেছে। আগের দিন অর্থাৎ রবিবার জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭১ জন সোমবার একলাফে তার তিন গুন ছাড়িয়ে গেল আক্রান্তের সংখ্যা।
জেলার মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন শুধু খড়গপুর শহরেই। এই মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ জন। এই আক্রান্তের অর্ধেকের কাছাকছি শুধু রেল কর্মী এবং তাঁদের আত্মীয় স্বজন। এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। রেলের বাইরে আইআইটি খড়গপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। বাকি আক্রান্তরা গোটা শহর জুড়ে রয়েছেন। এরমধ্যে খরিদায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি যেখানে একই পরিবারের ৫জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিবারের আক্রান্তদের মধ্যে ৭ এবং ১০ বছরের বালক বালিকা রয়েছে। বাকি শহরের ইন্দা, ট্রাফিক, শরৎপল্লী, রবীন্ড্রপল্লী, সুকান্তনগর, সাঁজোয়াল, নিমপুরা, বড় আয়মা, টুরিপাড়া এলাকার। আইআইটি ক্যাম্পাসের মধ্যেও একাধিক আক্রান্ত রয়েছেন। রেল এলাকার আক্রান্তরা রেলের এলাকা ছাড়াও রামকৃষ্ণপল্লী, ভগবানপুর, সুভাসপল্লী, তলঝুলি, নয়াপাড়া, বামুনপাড়া, সোনামুখী, তালবাগিচা, ছোট ট্যাংরা ইত্যাদি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। সব মিলিয়ে গোটা শহর জুড়েই ভয়াবহ সংক্রমন ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরের আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪৫ জন যারমধ্যে কয়েকজন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন। রয়েছেন কয়েকজন চিকিৎসকর্মীও। শহরে সর্বোচ্চ সংক্রমন নজরে পড়েছে আবাস ও কুইকোটা এলাকায়। মোট ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন এখানে যার মধ্যে একই পরিবারের তিন সদস্য রয়েছেন। এর বাইরে আক্রান্তরা রয়েছেন পালবাড়ি, নতুন বাজার, তাঁতিগেড়িয়া, রাঙামাটি, রবীন্দ্রনগর, ধর্মা, নিবেদিতা কলোনি, হবিবপুর, ক্ষুদিরাম নগর, মির্জাবাজার,অশোক নগর, মাইকেল মধুসূদন নগর ইত্যাদি এলাকায়।
দুই শহরের বাইরে বড়সড় আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে শালবনী এলাকায়। আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। ওসিএল কারখানার একাধিক কর্মী ছাড়াও ভাদুতলা, চকতারিণী, চৈতা, ট্যাঁকশাল, কোবরা ক্যাম্পে। এছাড়া গড়বেতায় ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গড়াবেতা ও নিরাশোল মাইতায় দুটি পরিবারে ২জন করে আক্রান্ত। রাজনগর ও ধাদিকা এলাকা থেকেও আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। গোয়ালতোড়েও এক আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
ঘাটাল এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্ততঃ ১৫জন। আক্রান্তরা কুশপাতা এলাকার একই পরিবারের ২জন ছাড়াও কৃষ্ণপুর, জয়নগর, নিশ্চিন্দিপুর, হরিদাসপুর, দন্ডিপুর সুলতানপুর, গোপমহল এলাকার বাসিন্দা। দাসপুর ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ডজন ব্যক্তি। এঁরা কুমারচক, ঠাকুরানীচক, কোনারচক, হরেকৃষ্ণপুর, সাগরপুর, বাসুদেবপুর, গাদিঘাট, হরিরামপুর এলাকার বাসিন্দা। দাসপুর ২ ব্লকের সাহাচক, জগন্নাথপুর, পলাশপাই, চাঁইপাট থেকে একাধিক আক্রান্তের খবর মিলেছে। চন্দ্রকোনা ২ ভগবন্তপুরে একই পরিবারের ৩জন আক্রান্ত। যার মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও ২বছরের এক বালক রয়েছে। ক্ষীরপাই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নমুনা থেকে হরিপদপুর, নন্দনপুর ও উত্তরবাড়ে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
মেদিনীপুর সদর মহকুমার গুড়গুড়িপাল ও দেপাড়া থেকে একাধিক আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। গ্রামীন খড়গপুরের চৌরঙ্গী, সাহাচক, মহেশপুর ও ডেবরা, বেলদা, সবং, দাঁতন, কেশিয়াড়ি থেকে পরিমানে কম হলেও সংক্রমনের খবর এসেছ