নিজস্ব সংবাদদাতা: মাস ফুরালেই ফের লাইনে দাঁড়াতে চলেছেন ক্ষুদার্থ মানুষ। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের। এপ্রিলের অভিজ্ঞতা ভাল নয়, রাজ্য জুড়েই রেশন বিদ্রোহ দেখেছে মানুষ। কোথাও রেশনের চাল কম দেওয়া, কোথাও রেশন না দেওয়া নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে জনতা। ভাঙচুর, ঘেরাও, বিক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়েই। আর সমস্ত রেশটাই গিয়ে পড়েছে রেশন দোকানদের ওপর যদিও সবটই যে তাঁদেরই দোষ এমনটা বলা যাবেনা। লকডাউনের সময় নিজের ভোটের ভাঁড়ার যেন বজায় থাকে তাই ‘দুঃস্থ’ জনতাকে শান্ত করতে শাসক দলের বহু নেতাই রেশনের চাল নিজের হেফাজতে নিয়ে গিয়েছেন বা এখনও যাচ্ছেন এ নজির নতুন করে দেখানোর দরকার নেই কারন খোদ মূখ্যমন্ত্রী আর খাদ্যমন্ত্রীই সে কথা বলেছেন।
এরপরই রয়েছে পুলিশের দান ধ্যান। পরিযায়ী শ্রমিক, কোয়ারেন্টাইনে থাকা হাজার হাজার মানুষ, ভিক্ষেজীবী, ভবঘুরে সবই এসে পড়েছে পুলিশের আওতায়। পুলিশ কোথায় চাল পাবে ? তাঁরাও নাকি হাত বাড়াচ্ছেন সেই রেশন দোকানের দিকেই। আর লক ডাউনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চলছে রেশনের মাল পাচার । সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের সামাট থেকে ঘাটাল মহকুমা শাসক অসীম পালের নেতৃত্বে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা গিয়ে বাজেয়াপ্ত করে ৪ ট্রাক রেশন দ্রব্য। একই ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ ওড়িশা পাচার হওয়ার মুখে উদ্ধার করেছে লরি ভর্তি চাল। চাল লুট হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের এফসিআই গোডাউনে ঢোকার মুখ থেকেও। সোমবার সেরকমই বস্তা বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবারই সামনের মাসে রেশন বিলি বন্দোবস্ত নিয়ে সমীক্ষায় বসেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর খাদ্য নিয়ামক। আলোচনায় উঠে এসেছে শুধু এপ্রিল মাসের শেষ ১৫দিনে ২২জন রেশন ডিলারকে শো-কজ , ৮ জনকে সাসপেন্ড ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও এটা নাকি হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এরই মধ্যেই চলে আসছে মে মাস আবার নতুন করে একদফা রেশন বিলির সময়। দুশ্চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।