এখানেই পড়েছিল দেহ, দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানা এলাকায় এই পঞ্চাশোর্ধ গৃহবধূকে ধর্ষন করে খুন করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সংলগ্ন গ্রামগুলিতে। ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। শনিবার সন্ধ্যায় শালবনী গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার খামারবাড় জামবনী গ্রামের থেকে এক কিলোমিটার দুরের একটি জঙ্গলের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলার নগ্ন দেহ যার শাড়ি ইত্যাদি পোশাক অন্য জায়গায় পড়ে ছিল, এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় মহিলারা শাঁখা পলা ইত্যাদি। ঘটনাস্থল থেকে একটু দুরে পড়ে থাকা একটি মোবাইলের সুত্র ধরেই পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এক যুবককে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশের দাবি গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবক তার অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। মহিলার ছেলে ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুপুর তিনটে নাগাদ কয়েকটি ছাগল নিয়ে বাড়িতে থেকে জঙ্গলে চরাতে নিয়ে গিয়েছিল। বিকাল গড়িয়ে আসার পর ছাগল গুলি নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। তখন ওই গৃহবধুর খেয়াল হয় একটি বাচ্চা ছাগল ফেরেনি। ফের ওই মহিলা জঙ্গলে যান কিন্ত আর ফেরেনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মহিলার ছেলে জানায়, ‘অনেকক্ষন পরে মা না ফিরলেও ছাগল বাচ্চাটা ফিরে আসে। সন্ধ্যায় ঘন হয়ে এলে দুশ্চিন্তায় আমরা মা কে খুঁজতে বের হই। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর একটি ঝোপের ধারে মা কে পড়ে থাকতে দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড় ও নখের চিহ্ন ছিল।”
পড়ে রয়েছে শাঁখা , পলা |
মোহনলাল কারক নামে এক গ্রামবাসী জানান, ”মহিলাকে গলা টিপে খুন করার দাগ যেমন গলায় পাওয়া গেছে তেমনই তাঁকে যৌন নির্যাতনও যে করা হয়েছে তেমনই প্রমান মিলেছে। আমরা চাই অপরাধীদের ফাঁসি হোক।” রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে জনতা মৃতদেহ তুলতে দেবেনা বলে জানায়। পরে পুলিশ দোষিদের ধরার আশ্বাস দিলে জনতা শান্ত হয়। রাতেই পুলিশ পাশের গ্রাম বসিরাইশোল থেকে কয়েকজনকে আটক করে। যদিও খুনের ঘটনার কথা বললেও পুলিশের তরফ থেকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করা হয়নি। পুলিশের বক্তব্য ময়নাতদন্ত ছাড়া ধর্ষন বলা যাবেনা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও গ্রামবাসীদের বক্তব্য একজন পঞ্চাশোর্ধ মহিলাকে ধর্ষন ছাড়া অন্য কি কারনে খুন করা হবে ? কেন মহিলার শরীর উলঙ্গ করা হবে ? কেন গোপন অঙ্গগুলিতে ক্ষতের চিহ্ন থাকবে? পরিবারের দাবি মহিলা সামান্য ঝুঁকে হাঁটতেন এবং কানে কম শুনতেন তাই তাঁর পিছু নেওয়া দুস্কৃতিদের আওয়াজ তিনি পাননি।