নিজস্ব সংবাদদাতা: সাধারন ভাবে আইপিএস ক্যাডার থেকে পুলিশ এবং আইএএস ক্যাডার থেকেই প্রশাসনিক আমলা বা উচ্চপদে নিয়ে আসা হয় কিন্তু সেই নজির ভেঙে আইপিস রাজীব কুমারকে নিয়ে আসা হল একজন উচ্চ পদস্থ আমলা হিসাবে। বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকারের আমলা স্তরে বড়সড় রদবদল করা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গেজেট নোটিফিকেশন করে জানানো হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা বর্তমানে সিআইডির এডিজি পদে থাকা আইপিএস রাজীব কুমারকে পুলিশ থেকে প্রশাসনে নিয়ে আসা হল। তাঁকে তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান সচিবের পদে নিয়ে আসা হয়েছে। এতদিন যা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে দেখতেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কেন এই ধরনের ভাবনা তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছেন পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ মহলের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও। গত কয়েক বছর ধরে রাজীব কুমার নামটি বঙ্গবাসি সহ সারা ভারতে তুমুল আলোচিত। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না হয়েও তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর পর্যায়ে চলে এসছেন। সারদা মামলায় তৃনমূল নেতাদের মত তিনিও অভিযুক্ত শুধু নয়, মামলার নথিপত্র নষ্ট করার মত আভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চেয়ে তাঁর বাসভবনে অফিসে বারবার হানা দিয়েছে আর সব চেয়ে বড় কথা স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জন্য প্রকাশ্যে ধরনায় বসেছিলেন। রাজীব কুমারের সঙ্গে সিবিআইয়ের টানাপোড়েনর সময়ও রাজ্য প্রশাসন পুরো সহযোগিতা করেছিল কলকাতা পুলিশের দুঁদে এই আধিকারিককে। কিছুদিন আগে রাজীব কুমারের যখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তখনও রাজ্য প্রশাসনের থেকে তাঁর বিষয়ে কোনও খবর পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এখন অবশ্য সিবিআই চুপচাপ। বিরোধিদের আভিযোগ, ” সম্প্রতি মমতা ব্যানার্জী দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখা করে আসার পরেই হঠাৎ চুপচাপ হয়ে গেছে সিবিআই। গোটা বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্যের গটআপ গেম।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, সম্প্রতি এনআরসি আর ক্যা নিয়ে বাংলা দিল্লি বিরোধ চরমে। নতুন করে কেন্দ্র আবার সিবিআই তাস খেলতে পারে। আবার তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর হয়ে উঠতে পারে সিবিআই। আর সেক্ষেত্রে আদালতের চোখে পুলিশের প্রভাবশালীর তকমা এড়ানোর জন্য পুলিশ থেকে প্রশাসনে সরিয়ে আনা হল তাঁকে।