ওয়েব ডেস্ক : হাথরসে রাহুল গান্ধিকে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মতই প্রতিবাদ বিক্ষোভে নামলেন খড়গপুর ও মেদিনীপুরের ছাত্র যুব মহিলা সংগঠন গুলি। রাস্তা অবরোধ, আগুন জ্বালিয়ে চলল বিক্ষোভ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মুখে এই বিক্ষোভকে ঘিরে কিছুক্ষনের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় দুই শহরের প্রবেশ ও নির্গমনের পথ।
জানা গেছে হাসরথে ধর্ষিতা ও নিহত নির্যাতিতার বাড়ি রাহুল প্রিয়াঙ্কা যাচ্ছেন শুনেই গোটা দেশের মতই টিভিতে চোখ রেখেছিলেন এরাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা। খড়গপুর ও মেদিনীপুর শহরেও যখন কংগ্রেস কর্মীরা যখনই টিভিতে দেখতে পান যে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কার সাথে গা জোয়ারি মনোভাব নিয়েছে পুলিশ। রাহুলকে আটকাতে ধাক্কাধাক্কি চলছে তখনই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই শহরে রাস্তায় নামার পরিকল্পনা নেন কংগ্রেস কর্মীরা। মেদিনীপুর শহরে সৌমেন খান ও খড়গপুর শহরে ছাত্র নেতা উজ্জ্বল মুখার্জীর নেতৃত্বে পথ অবরোধ কর্মসূচি নেওয়া হয়।
এদিকে এদিনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধি ট্যুইটারে লেখেন, “উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে। সরকার এতটাই ভীত যে কেউ শোকগ্রস্থর সঙ্গে দেখা করলেও সরকারকে ভয় পেতে হয়।” পাশাপাশি এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে, তাই আমরা পায়ে হেঁটেই এগোচ্ছিলাম। এর মধ্যেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এ দেশে কি শুধু নরেন্দ্র মোদিই হাঁটবেন? সাধারণ মানুষের হাঁটারও অধিকার নেই?”
এই ট্যুইটের পরে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসকর্মীরা রাস্তায় নামেন। এদিন পতাকা নিয়ে কলকাতার একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল করতে দেখা যায়। একইসাথে হাথরসে নিহত নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সাথে দেখা করতে যাওয়ার পথে রাহুল গান্ধিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে খড়গপুর যুব কংগ্রেসের তরফে খড়গপুর ইন্দা মোড়ে রাস্তা আটকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। একই সাথে মেদিনীপুর জগন্নাথ মোড়ের কাছে মহিলা কংগ্রেসের তরফে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।