Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গবিধানসভা এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখা মূল লক্ষ্য, ভোটে জয়ী হতে রবীন্দ্রনাথের ভরসা...

বিধানসভা এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখা মূল লক্ষ্য, ভোটে জয়ী হতে রবীন্দ্রনাথের ভরসা দই-চিড়া

 

নিউজ ডেস্ক: একেবারে দোরগোড়ায় একুশের নির্বাচন। তার আগে ঠিক রাখতে হবে শরীর স্বাস্থ্যও। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে বিধানসভা কেন্দ্রটির দিকেও। রাজবংশীদের মন পেতে প্রাতঃরাশে আটিয়া কলা, চিড়ে দই এখন ভরসা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।

 

উত্তরের নির্বাচনে অন্যতম ভোট ব্যাংক রাজবংশীদের। কোচবিহারে সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে রাজবংশীদের। তাই ভোট এগিয়ে আসতেই রাজবংশীদের মন পেতে মরিয়া শাসক-বিরোধী দুই শিবির। কোচবিহারের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠক তথা উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দেখা যাচ্ছে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়তে। মঙ্গলবার সেই চিরাচরিত অভ্যাসে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নাটাবাড়ি ১ নম্বর অঞ্চলের পানিশালা এলাকায় দেখা গেল তাকে । প্রাতঃরাশ সাড়ছেন তিনি । রয়েছে আটিয়া কলা , চিড়া দই ।

 

এটি অন্যতম পছন্দের খাবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের । তিনি বলেন , নির্বাচনী প্রচার চলবে দিনরাত এক করে । মানুষের কাছে পৌঁছোতে হবে , তাই শরীরের খেয়াল রাখা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ । শরীরের খেয়াল রাখার জন্যই পুরনো ছন্দে ফিরে আসার চেষ্টা করছি । শুধু নিজে নয় জেলায় প্রচারে থাকা সমস্ত নেতাকর্মীদের এই ধরনের খাবার খাওয়ার টোটকা দিলেন তিনি । এদিন এলাকায় বৈঠকের মাধ্যমে শুরু হল তার প্রচার ।

 

যদিও বা বিজেপির তরফ থেকে কটাক্ষ করে জেলা সহ-সভাপতি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেছেন , উনি অসুস্থ মানুষ খাওয়া দাওয়ার প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন । আর আটিয়া কলা, চিড়া-দই কোচবিহারের অন্যতম ঐতিহ্যপূর্ণ খাবার।

 

প্রসঙ্গত, শুক্রবারেরই বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বাংলায় এবার নির্বাচন হবে ৮ দফায়। ভোট গ্রহণ হবে ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল, ৬ এপ্রিল, ১০ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিল, ২২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল ও ২৯ এপ্রিল। তার পর ফল ঘোষণা হবে ২ মে। এবারে করোনা আবহে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা যোগে ভোট সফল করাই নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। একথা সাংবাদিক বৈঠকেও জানান সুনীল আরোরা। তাই এবারেও করোনা পরিস্থিতির দিকে বিশেষ নজর রেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রচার করার ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম জারি করেছে কমিশন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবার পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বাংলায় বুথ বেড়েছে ৩১.৬৫ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৯১৬টি। প্রথম দফায় ৩০ আসনে ভোট হবে। কোচবিহারে হবে চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ অর্থাৎ ১০ এপ্রিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular