নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রচারে বেরিয়ে নিজের এলাকাতেই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবের মিছিলে গো ব্যাক স্লোগান, কালো পতাকা দেখিয়ে মিছিল আটকে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের এই বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ডোমজুরে। বিক্ষোভ সামাল দিতে লাঠি চার্জ করে প্রার্থীর সঙ্গে থাকা পুলিশ ও আধা সেনা। লাঠিচার্জ করে তারা বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।
কয়েকদিন আগে তৃণমূল ছাড়ার সময় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোমজুড়ের ভূমিপুত্র তিনি, আর সেখান থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বেন। সেই মতই সেখানেই বিজেপি তাক্র প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থী ঘোষণা হতেই রাজীব শুরু করেছেন নির্বাচনী প্রচার। রবিবারেও সেই মোতাবেক প্রচারে বেরিয়েছিলেন, ডোমজুর বিধানসভা কেন্দ্রে বাঁকড়া এলাকায়। সেখানে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন ও মিছিল করেন রাজীব। কিছুক্ষণ পরেই সেই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা রাজীবকে উদেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান তোলেন। তাকে মিরজাফর বলেও স্লোগান দেয়। বাঁকড়া দোতলার কাছে মিছিল পৌঁছলে সেই মিছিল আটকে দেওয়ারও চেষ্টা করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। রাজীবকে কালো পতাকা দেখানো হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের মিছিলে ঢিল ছোঁড়ে শাসক দলের লোকেরা। মিছিলে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করা হয় শাসক দলের পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির।
পরিস্থিতি কিছুটা বেগতিক বুঝেই রাজীবের নিরাপত্তারক্ষীরা লাঠিচার্জ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে রাজীবপন্থীদের দাবী তৃণমূল মিছিল আটকাতেই সংঘাত শুরু হয়। ফলে উত্তপ্ত হয় এলাকা। রাজীব সমর্থকদের দাবী বিজেপির মিছিল এদিন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কিন্তু মিছিল টার্গেট করে সেখানে ইট বৃষ্টি হতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়। এদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ রাজীবের নিরাপত্তারক্ষীরা লাঠি চার্জ করার জন্যই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, ‘তৃণমূল যেভাবে সব মিছিল আটকাচ্ছে, আগামিদিনে জনতাই তার উত্তর দেবে। যারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, ক্ষমতা হারানোর ভয় পাচ্ছে, যারা ভাবছে জনসমর্থন কমে গিয়েছে। তারাই এসব করছে।’
প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছাড়ার পর বহুবারই বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুদিন আগেই ডোমজুড় বিধানসভায় তার রোড শো তে কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল। আর রবিবাসরীয় সকালে প্রচারে বেরিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজীব।