নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোট শেষ, ফের ক্ষমতায় ফিরেছে তৃনমূল কংগ্রেস আর তৃতীয় বার বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কথা রাখুন মুখ্যমন্ত্রী! হাতে থার্মোকলের থালায় এমনই আবেদন জানালেন গত ৭বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাকুরী প্রার্থীরা এই আবেদন নিয়েই হাজির হলেন মেদিনীপুর শহরের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কার্যালয়ের সামনে।
প্রার্থীরা জানান, বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ১১ই নভেম্বর,২০২০ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে প্রেস কনফারেন্স করে ঘোষণা করেছিলেন, প্রাইমারিতে ২০১৪ সালের প্রায় কুড়ি হাজার প্রশিক্ষিত টেটপাস চাকুরীপ্রার্থী থেকে ১৬,৫০০ জনকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নিয়োগ করা হবে এবং বাকি প্রার্থীদেরও ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতিতে প্রায় কুড়ি হাজার প্রশিক্ষিত টেটপাস চাকুরিপ্রার্থী ও তাদের পরিবার আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু সেই আলো ফের ফিকে হয়ে আসছে নানা টালবাহানায়।
নট ইনক্লুড প্রার্থী অদ্বৈত রানা বলেন , “সময়মতো ইন্টারভিউ হয়ে রেজাল্ট বেরোয়। কিন্তু সাত আট মাস কেটে গেলেও বর্তমানে অধিকাংশ প্রার্থী নট ইনক্লুড তালিকায় আছেন। চাকুরী প্রার্থীরা চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন”।
“২০১৪ প্রাইমারি টেটপাস প্রশিক্ষিত নট ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেটস একতা মঞ্চের” পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , তাঁদের উদ্যোগে গত ৩ জুলাই, শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে “গন টুইট কর্মসূচি” পালন করা হয়। এই কর্মসূচিতে মঞ্চের প্রায় আট হাজার প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁরা সদুত্তর পাননি । তাই ফের সোমবার ২৬ শে জুলাই প্রত্যেক জেলায় এই ডেপুটেশন কর্মসূচি পালনের দিন ধার্য করা হয় এবং তাঁদের আবেদন DI র কাছে তুলে ধরা হয়।
মঞ্চের সভাপতি অচিন্ত্য ধাড়া বলেন, “আমরা ২০১৪ সাল থেকে টেট পাস করে বসে আছি। আমরা কেউ বি.এড কেউ ডি.এল.এড টিচার্স ট্রেনিং কমপ্লিট করেছি। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর কেটে গেলেও সরকার এখনো আমাদের নিয়োগ দেয়নি। চাকুরী পাবার সব রকম যোগ্যতা থাকা সত্বেও আমরা বঞ্চিত। আমাদের চাকরীর বয়সের সময়সীমা শেষের দিকে।”
ধাড়ার আবেদন, বাংলার ভোট-পর্ব সম্পন্ন হয়েছে,কোভিড পরিস্হিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, এবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেন প্রতিশ্রুতি মত, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটপাস প্রশিক্ষিত সকল নট ইনক্লুডেড প্রার্থীদের এবছর পুজোর আগে নিয়োগ করে বেকার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করেন।