নিজস্ব সংবাদদাতা: এতদিন যারা ছিলেন ফেসবুকের পাতায় পাতায় তাঁদেরই আজ উপচে পড়তে দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিনবঙ্গে, জঙ্গলমহল থেকে সমুদ্র উপকূলে। সত্যিকথা বলতে কি শুভেন্দু অধিকারী অসুস্থ না হলে জানাই যেতনা দলের বাইরে গিয়েও কী বিপুল পরিমাণ সমর্থক জুটিয়েছেন এই কয়েক বছরে। এঁরা হয়ত সবারই তৃনমূল সমর্থক কিন্তু তারও চেয়ে বেশি এঁরা দাদার অনুগামী। দাদা যেদিকে, এরাও সেদিকে।
রবিবার এরকমই ৭০০ যুবককে দেখা গেল ঝাড়গ্রাম জেলার গুপ্তমনির মন্দিরে মন্ত্রী এবং তাঁর মা গায়ত্রী দেবীর আরোগ্য কামনায় পূজা দিতে। ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনীর স্নেহাশিষ ভকত এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের মুনমুন বণিকের নেতৃত্বে রবিবার দুই জেলার ৭০০ যুবকের একটি দল হাজির হয়েছিলেন গুপ্তমনির মন্দিরের। গুপ্তমনি ভক্তদের বিশ্বাস তাঁর কাছে পুজো দিলে ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ন হয়।
স্নেহাশিস জানান, ” মা গুপ্তমনি মন্দিরে আমরা ১০৮ জবা ফুল এবং ১০১ টি নারকেল দিয়ে পুজো দিয়েছি। আমরা প্রার্থনা করেছি জঙ্গলমহলের অগ্নিযুবক, পরম পূজনীয় মাননীয় মন্ত্রী জননেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের এবং মা গায়েত্রী দেবীর দ্রুত আরোগ্য হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন। তাঁদের মঙ্গল কামনায় নিবেদিত পুজোর বিশেষ ফুল এবং প্রসাদ পাঠানো হবে দাদার কাছে। আমরা মা গুপ্তমনির কাছে প্রার্থনা করছি, দাদা দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন মানুষের জনসেবায়।”
অন্যদিকে মুনমুন বণিক জানান, ” দাদা শুধু আমাদেরই জননেতা নন তিনি জঙ্গলমহলের প্রাণ, বাংলার আলোর দিশারী। আমাদের সকল শক্তির অনুপ্রেরণা তিনিই। এই কোভিড পর্যায়ে তিনি যেভাবে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তেমন করে কাউকে দাঁড়াতে দেখিনি। কোভিড যোদ্ধা হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি দাদাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করুন মা যাতে তিনি এই মহাসঙ্কটে, অতিমারি কালে মানুষের হয়ে লড়াইয়ে আমাদের নেতৃত্ব দিতে পারেন। ”
উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারীর সৈনিকরা রাজ্যের পাহাড় থেকে সাগর যেমন তাঁর মঙ্গল ও সুস্থতা কামনায় পুজা যাগযজ্ঞ করেছেন তেমনি বিভিন্ন জায়গায় পীরের দরগায়, মাজারে চাদর চড়ানো হয়েছে। মুনমুন বণিক জানিয়েছেন, “শুধু রাজ্য নয় রাজ্যের বাইরেও ওড়িশার পুরীর মন্দির, উত্তর প্রদেশের বৃন্দাবন ধামেও পুজো দেওয়া হয়েছে দাদার নামে।”
মুনমুন বলেন, ” যতদিন না দাদা আমাদের মধ্যে ফিরে আসছেন ততদিনই চলবে এই পুজাপাঠ। ভারতের সমস্ত সনামধন্য মন্দির মসজিদে দাদার জন্য প্রার্থনা করে যাব আমরা।” উল্লেখ্য দু’দিন আগে কোভিড পজিটিভ হওয়া মন্ত্রী বর্তমানে একটি হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তাঁর মা ও ভর্তি রয়েছেন।”