পটল মাখানি আর ভেন্ডি ভর্তা
মলি মুখার্জী
বড়দের না হয় বলে কয়ে চালিয়ে নেওয়া যায় কিন্তু গোল বাধে ছোটদের নিয়ে। শাক সবজি দেখলেই নাক সিঁটকোবে। খেতে চায়না। দোষ অনেকাংশেই আমাদের কারন ছোট থেকে যে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা দরকার তা আমরা করিনা বরং পরিশ্রম বা সময় বাঁচাতে আমরা তাদের হাতে প্রায় সময়ই মাছ মাংস ডিম তুলে দেই। যেহেতু আমিষের নিজস্ব স্বাদ রয়েছে তাই ঝক্কি কম আর ছোটরা সহজেই গ্রহন করে নেয়। ছোট বড় সবারই বিকাশের প্রয়োজনে আমিষ প্রোটিনের ভূমিকা অস্বীকার করার নয়। কিন্ত এটাও মনে রাখতে হবে শরীর গঠনে ও সুস্থ থাকতে গেলে যে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান প্রয়োজন তা মেলে শাক সবজি থেকেই। এখন সমস্যা হল ছোটোরা বেশিরভাগ সময় ই মুখরোচক খাবার কেটে ভালোবাসে। পটল, ভেন্ডি দেখলে নাক সিটকায়। অথচ এই গরমে বা বর্ষায় বাজারে পটল, ভেন্ডি, ঝিঙে র ই ছড়াছড়ি, এড়িয়ে চলা মুশকিল। মা রা সহজেই এই নাক কোঁচকানো সবজি গুলো কে “moms magic “করে নিতে পারেন নিমেষে। তাই আসুন, আজ আমরা পটল, র ভেন্ডি কে পাতে ফেলার আয়োজন করি।
(১)পটল মাখানি
উপকরণ পটল: এমনি জিরে, কাঁচা লঙ্কা, নুন, চিনি, সাদা তেল, বাটার, কিসমিস ও অল্প ছানা
প্রণালী : প্রথমে পটল খুব ছোট ছোট করে কেটে সাদা জিরে কাঁচা লঙ্কা নুন ও চিনি দিয়ে বেটে নিতে হবে
এবার কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে সাদা জিরে ফোড়ন দিয়ে পটল বাটাটা দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে তেল ছেড়ে দিলে খানিকটা ছানা ও কিসমিস দিয়ে নেড়ে একটু বাটার দিয়ে নামাতে হবে । এ ব্যাপারে একটা কথা বলতে চাই ঘরে যে সমস্ত উপকরণ পাওয়া যায় তাই দিয়ে রান্না করাই শ্রেয়
(২) ভেন্ডি ভর্তা
উপকরণ : ভেন্ডি, রিফাইন অয়েল, টক দই,গোটা জিরে, শুকনো লংকা, লবন, চিনি।
প্রণালী : ভেন্ডি ছোটছোট করে কেটে, রিফাইন অয়েল দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
একটি শুকনো তাওয়া বা কড়া তে গোটা জিরে ও শুকনো লঙ্কা গরম করে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
অন্যরকম একটি পাত্রে টক দই,ফেটিয়ে নিয়ে তাতে শুকনো গুঁড়ো মশলা মিশেয়ে দিতে হবে। ভেন্ডি ভাজা হয়ে গেলে, তাতে দই র মিশ্রণ টি ঢেলে দিয়ে অল্প আঁচে ফুটে নিতে হবে। পরিমান মতো লবন বা বিটনুন, মিষ্টি দিয়ে, নামিয়ে দিন। রুটির সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।