লাঠি উঁচিয়ে পুরুষ পুলিশ কর্মীরাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপির মহিলা কর্মীদের ওপর পুরুষ পুলিশরা ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচার লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি। পুলিশের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত ও ক্ষত বিক্ষত হতে দেখা গিয়েছে মহিলা মোর্চার সদস্যাদের। পাল্টা পুলিশের দাবি মোর্চার সদস্যাদের হাতে নিগৃহীত ও আহত হয়েছেন খড়গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ ৬জন মহিলা পুলিশ কর্মী। শনিবার মোর্চার নারায়নগড় থানা অভিযানকে ঘিরে এভাবেই ধুন্দুমার কান্ড ঘটে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় থানার অনতিদুরে। তবে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের মধ্যে শাসকের দুশ্চিন্তার কারন হয়েই রইল বিজেপির নারী মোর্চার জবরদস্ত লড়াকু মানসিকতা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারন সম্পাদিকা উমা বিশ্বাস ও নেত্রী রুমা দাস অভিযোগ করেছেন, বিজেপির কর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দেওয়া, রাজ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলা নারী নির্যাতন ইত্যাদি ইস্যুতে তাঁরা নারায়নগড় থানায় ডেপুটেশন দিতে গেছিলেন। আগাম অনুমতি নেওয়া স্বত্তেও পথ আটকায় পুলিশ। কেন পুলিশ পথ আটকালো এই নিয়ে পুলিশের সংগে কর্মীদের বচসা চলছিল। কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে থানায় যেতে চাইছিলেন এমনই অবস্থায় কয়েকজন মহিলা পুলিশকে সামনে রেখে মহিলাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পুরুষ পুলিশের দল। নির্বিচার লাঠি পেটা করা হয় মাথা , শিরদাঁড়া ও শরীরের এমন অংশে যা একজন মহিলা দেখানো তো দুরের কথা মুখে বলতে পারবেনা। ঘটনায় ৩৫ জন মহিলা আহত হয়েছেন এবং ছ’জন গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত হয়েছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খড়গপুর মহকুমা পুলিশ শাসক সুকমল দাস জানান, ‘অতর্কিত হামলা চালায় মহিলারাই। তিনি নিজে এবং নারায়নগড় থানার দ্বিতীয় পদস্থ আধিকারিক ছাড়াও ৬জন মহিলা পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
আলতা নয়, রক্ত মাখা পা |
ঘটনা যাই হোকনা কেন একটা বিষয় পরিস্কার যে, মহিলাদের এই কর্মসূচি সম্পর্কে আগাম ধারনাই ছিলনা পুলিশের। জলকামান কিংবা রাবার বুলেট থাকলেও তার যথাযথ ব্যবহার পুলিশ করতে পারেনি, পারলে লাঠি চালানো বা রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটত না। কত মহিলা এই কর্মসুচীতে অংশ নিতে পারে, আন্দোলন কোন স্তরে উঠতে পারে তার আগাম ধারনা পুলিশের ছিলনা বলেই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সরাসরি মহিলা মোর্চার নিগ্রহের হাতে পড়তেননা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যথেষ্ট সংখ্যক মহিলা কর্মী ও মহিলা পুলিশ আধিকারিক মোতায়েন করলে এই রক্তপাত এড়ানো যেত। পদস্থ আধিকারিকরা মোর্চার নিয়ন্ত্রনের মধ্যে চলে আসার ফলেই দিশাহীন ভাবে পুরুষ পুলিশ কর্মীদের সামনে নিয়ে আসতে চলে হয়েছিল পুলিশকে।
নারায়নগড় থানা এলাকায় বিজেপি শক্তিশালী ঠিকই কিন্তু তাদের মহিলা মোর্চাও যেভাবে জঙ্গিপনা ও কৌশলে পুলিশকে অপদস্থ করেছে তা ভাবার বিষয় হয়ে রইল। আপাত বিক্ষোভ সামাল দিলেও বিজেপির মহিলা সংগঠন পুলিশ ও শাসকদলের কাছে কাঁটা হয়েই থেকে গেল।