নিজস্ব সংবাদদাতা: বিয়ে হয়েছিল ৩ বছর আগেই কিন্তু কোনও দিনই শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায়নি স্বামী। অন্য একটি স্থানে বাড়ি ভাড়া করে থাকত। স্বামীর নিজের বাড়ি পিংলা থানারই খিরিন্দা গ্রামে। কিন্তু কোনও দিনই গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়নি। এরপর হঠাৎই লকডাউন শুরু হওয়ার সময় হঠাৎই একদিন বউকে ফেলে উধাও।স্বামী। অপেক্ষা করতে করতে ধৈর্য্যর বাঁধ ভাঙায় শুক্রবার সেই শ্বশুরবাড়ির সামনে গিয়ে অবস্থানে বসলেন ওই গৃহবধূ।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের খিরিন্দা এলাকার। ওই মহিলার দাবি, সেটিই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। একেই লকডাউন তার ওপর করোনা পরিস্থিতিতে এমন কাণ্ডে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। আশেপাশের লোকেরা জড়ো হয়ে যায় ঘটনাস্থলে। ওই গৃহবধূ দাবি করেন তাঁকে বাড়িতে থাকতে দিতে হবে। অন্যদিকে বাড়ির লোকেরা তাকে ঢুকতে দিতে নারাজ। এই ঘটনার সময় অবশ্য দেখা মেলেনি ওই মহিলার দাবি করা স্বামীর।
মেদিনীপুর শহরের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা বলে নিজেকে দাবি করেন ওই মহিলার। তাঁর অভিযোগ, বছর তিনেক আগে তাঁকে বিয়ে করে পিংলার অনির্বাণ দে। তবে বাবা-মার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কোনওদিনই স্ত্রীকে নিয়ে ঘরমুখো হয়নি সে। তাঁকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে রেখেছিলেন। মাঝেমধ্যে সেখানে আসত অনির্বাণ। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে আর স্ত্রীর কাছে ফেরেনি। এরপর বার বার অনির্বাণ ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মহিলা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছুই।
অবশেষে পিংলার খিরিন্দায় অনির্বাণের বাড়িতে যান ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, সেখান থেকেও তাঁকে ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে’ বের করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরই একটি সাদা কাগজে পোস্টার লিখে ধরনায় বসেন মহিলা। এদিকে মেদিনীপুর শহর থেকে গ্রামে একটি মহিলা এসেছে শুনেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর যায় থানায়। পুলিশ এসে মহিলাকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর সমস্যার কথা শুনে সমাধানের আশ্বাস দেন পুলিশ আধিকারিকরা। অন্যদিকে অনির্বনের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, পুরোটাই চক্রান্ত।