অশ্লেষা চৌধুরী: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ততায় কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেয়। যেমন ধরুন কোন কিছু কেনাকাটা করে আমরা অনলাইনেই তার দাম মিটিয়ে দিতে পারি। আবার ইলেক্ট্রিসিটি বিল দিতে ভুলে গিয়েছেন, তাতেও চিন্তা নেই, ঘরে বসে এক ক্লিকেই তা মিটিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধার সাথে সাথে বয়ে আনে অনেক রকম অসুবিধাও। যদি আপনি একটু অসচেতন হন তাহলেই আপনার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে, সেই সঙ্গে খোয়া যেতে পারে আপনার টাকাও। যেমনটি হয়েছে বালুরঘাটের যুবক সুব্রতর সাথে।
“ফোন পে” কাস্টমার কেয়ার অ্যাপে প্রতারিত হন বালুরঘাটের যুবক সুব্রত সরকার। তিনি গঙ্গারামপুরের সহন আলী গ্রামের বাসিন্দা। দফায় দফায় তার অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া যায় প্রায় ২৬ হাজার টাকা।
সুব্রত জানান, ফেসবুক করতে গিয়ে ফোন পে’র কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার দেওয়া একটি অ্যাড আসে। তিনি তাতে ফোনও করেন। কারণ বেশ কিছুদিন ধরেই তার ফোন পে অ্যাপ টি কাজ করছিল না। ফোন করার পর তাকে জানানো হয় সেটি কাস্টমার কেয়ারেরই নম্বর। তখন কাস্টমার কেয়ারের পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি সুব্রতকে AnyDesk নামক একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেন। ওই অ্যাপ নিতে গেলে ৯ ডিজিটের এক নাম্বার আসে, যার মাধ্যমে সুব্রতর ফোনের সব তথ্য ওই ব্যক্তির মোবাইলে চলে যায়, হ্যাক হয়ে তার ফোন। অ্যাকাউন্ট থেকে ৯,৯৯৯ টাকা উধাও হয়ে যায়। যুবক ফাঁদে পরেছেন বুঝতে পেরেই ফোন কেটে দিলেও এরপরে আবার ৯,৯৯৯ এবং ৬০০০ টাকা ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে ১৪ই নভেম্বর।
হরিয়ানাতে কাজ করে সুব্রত সরকার পিএফ- এর ২৬৪৬১ টাকা রেখেছিলেন রাধানগর ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে। কিন্তু হ্যাকারের ফাঁদে পরে সবটাই খোয়া যায় তার। মঙ্গলবার বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুব্রত।
এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে, চারিদিকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁদ পেতে রেখেছে হ্যাকারেরা। তাই না জেনে, না বুঝে কোনও নাম্বার বা কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। প্রয়োজনে আপনার যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখানে বা নিকটবর্তী কোন ব্যাঙ্কের শাখায় যোগাযোগ করুন। আপনার সচেতনতাই হ্যাকারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র উপযুক্ত হাতিয়ার