ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে….. |
নিজস্ব সংবাদদাতা: সদ্য কাটিয়ে ওঠা হিংসার জাবর কাটছে দিল্লি। দেশ ছাড়িয়ে দিল্লি দাঙ্গার নরক গন্ধ ছড়িয়েছে বিদেশেও। এর ধকল কত দিনে কাটবে কে জানে? তবে এসবের মাঝেও সমাজে বিশুদ্ধ ভাবনার অক্সিজেন বইয়ে দেয় ইয়াসিনরা। রবিবার, ১লা মার্চ মেদিনীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দুরে সম্প্রীতির বাতাসে উদ্বেল হল মন্দিরময় পাথরা গ্রাম। সৌজন্যে প্রায় অর্ধ শতাব্দী জুড়ে ৩৪টি হিন্দু মন্দির বুকে আগলে রাখা ইয়াসিন পাঠান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ইয়াসিনের পাথরা পুরাতত্ব সংরক্ষন কমিটিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফটোগ্রাফার্স এশোসিয়েশন অফ মিডনাপুর। ঐতিহ্য আর শিল্প ভাবনার মেলবন্ধনে রঙিন হয়ে ওঠা পাথরা তাই এদিন ঠিকানা হয়ে উঠেছিল শিল্প কলা সঙ্গীতের। মেদিনীপুর শহর ও আশেপাশের পরিচিত শিল্পী মুখ মেতে উঠেছিলেন মন্দির রাজির মণ্ডপ প্রাঙ্গনে। কবি থেকে প্রশাসক সবারই উপস্থিতি বর্ণময় হয়ে ওঠে পাথরা দুর্গামণ্ডপ চত্বর। এদিনের মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক রশ্মি কোমল। স্থানীয় বিডিও , বিধায়ক , প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রমূখরা।
ফাগুয়ার রং খেলা |
কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ইত্যাদির পাশাপাশি এদিনের মূল আকর্ষন ছিল লোকসঙ্গীত ও রবীন্দ্রসঙ্গীতকে আশ্রয় করে বিভিন্ন কলাকুশলীদের নৃত্য এবং নৃত্যাশ্রিত কলা প্রদর্শন। যাতে অংশ নিয়েছিলেন মেদিনীপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকার নাচের স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও নৃত্যানুরাগীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অনুষ্ঠানের শেষে আপ্লুত ইয়াসিন পাঠান জানান, এ বছর আরও ভাল সাড়া পেয়েছি আমরা। এমন একটা সময়ে আমরা এই অনুষ্ঠান করছি যখন দেশে হিংসার বাতাবরন। আমাদের আরও ভাল লাগছে আমরা সেই ক্ষত দুরে রেখে সম্প্রীতির আবহে এই উৎসব সংগঠিত করেছি। ফটোগ্রাফার্স এশোসিয়েশন অফ মিডনাপুর’য়ের সভাপতি গৌতম দেব বলেন, যে ভাবে আমরা শিল্প জগৎ ও সাধারন মানু্ষের সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা যথেষ্টই উৎসাহিত। আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আঙ্গিকে বিষয়টি ভাবতে চলেছি আমরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুরাতত্ব সংরক্ষন কমিটির এক সদস্য জানান, ইতিমধ্যেই পাথরাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের পর্যটন ভাবনা রয়েছে। কেউ কেউ এখানে হোম স্টে করার কথাও ভাবছেন। আমরাও ভাবছি আগামী দিনে এই উৎসবকে রাজ্যস্তরীয় পরিকল্পনায় আনা যায় কিনা। বেসরকারী উদ্যোগে রাজ্যের প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বকে এনে এই উৎসব করতে পারলে এটা একটা অন্যমাত্রা পাবে।