নিজস্ব সংবাদদাতা: দেড় মাসের ব্যবধানে আবারও পাচার করার আগেই উদ্ধার হল একটি প্যাঙ্গোলিন। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ২পাচারকারী। পূর্ণবয়স্ক এই প্যাঙ্গোলিনটিকে ভুটানে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে কিন্তু তার আগেই বনদপ্তরের অভিযানে ধরা পড়ে সেটি। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের সাহায্য নিয়ে বনদপ্তরের লোকেরা এই বিরল প্রজাতির প্রানীটিকে উদ্ধার করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
চিনা প্রজাতির প্যাঙ্গোলিনটি অসমের গৌরীপুর থেকে ভুটানে পাচার হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য গত নভেম্বর মাসেই বাংলাদেশে পাচার করার আগেই নাগরাকোটা এলাকার বেলাকোবা রেঞ্জ উদ্ধার করেছিল একটি প্যাঙ্গোলিনকে যার দাম ঠিক হয়েছিল ৬লক্ষ টাকা। গ্রেপ্তার হয়েছিল ৫জন ভুটান নাগরিক।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বর্তমানের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। বনদফতর জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের মথুরার জয়নগর চৌপথিতে তাঁরা হাজির হন। সোমবার রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদাল বস্তি রেঞ্জের বন দফতরের আধিকারিকরা ফাঁদ পাতেন। প্যাঙ্গোলিনটি হাত বদলের সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে দু’জন। ধৃতদের নাম আলাউদ্দিন আলি ও মিরাজ রহমান। আলাউদ্দিনের বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার শামুকতলায়। মিরাজ থাকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বন দফতর জানতে পেরেছে, প্যাঙ্গোলিনটি হাতবদলের আগে কোচবিহারের মারুগঞ্জ এলাকায় কোনও এক জায়গায় রাখা হয়েছিল। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদালবস্তি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার ধীরেশ কামির নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে। ধীরেশ কামি বলেন, “আমরা গোপনসূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালিয়েছি। অসমের গৌরীপুর থেকে প্যাঙ্গোলিনটি আনা হয়েছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ গত ছ’মাসে তিনবার প্যাঙ্গোলিন পাচারচক্রের হদিশ পেয়েছেন। কখনও জীবন্ত প্যাঙ্গোলিন আবার কখনও প্যাঙ্গোলিনের চামড়া উদ্ধার করেছে বন দফতর। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের কোদাল বস্তি রেঞ্জে বার বার প্যাঙ্গোলিন উদ্ধারের সফল হয়েছে।