নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে ফাঁসি সাজা ঘোষনা করল পাকিস্তানের একটি আদালত। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে থাকা ৭৬বছর বয়সী মুশারফকে মঙ্গলবার এই সাজা দিয়েছে লাহোরের একটি আদালত। যদিও তাঁর অনুপস্থিতিতেই এই সাজা ঘোষনা করা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য ২০১৬ সাল থেকেই চিকিৎসার জন্য তিনি দুবাইয়ে রয়েছেন। সেখানকার নাগরিকত্বও নিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে মার্চ মাসে দুবাই যান তিনি। তারপর আর দেশে ফেরেননি। দুবাইতে থাকাকালীনই বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন তাঁর অনুপস্থিতিতে যেন বিচার না হয়। মুশারফ বলেন শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে আদালতের সামনে না আসা পর্যন্ত যেন বিশেষ আদালতের সংরক্ষিত রায় যেন স্থগিত করা হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন পারভেজ মুশারফ। এরপরেই মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ। ২০১৩ সাল থেকে এই মামলা আদালতে ঝুলছিল। ২০১৪ সালে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হন মুশারফ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবশ্য এখনও ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা নেই মুশারফের। এর বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারেন তারপরও সাজা বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রান ভিক্ষের আবেদন করা যায়। তবে তারও চেয়ে বড় কথা মুসারফ এখন বিদেশী নাগরিক যদি তিনি পাকিস্তানে না যান তাহলে এই আদেশ কার্যকর হবে কি করে? উল্লেখ্য এর আগে ১৯৭৯সালে পাকিস্তানের আরেক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলি ভুট্টোর ফাঁসি হয়েছিল।