ওয়েব ডেস্ক : ১১ জুন থেকে রাজ্যে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। এই রোদ তো পরক্ষণেই আকাশের মুখ ভার। কিন্তু বর্ষা যতই আসুক তবুও গরম কমছে না। এই পরিস্থিতিতে ফের নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিল রাজ্য। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই শুক্রবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সপ্তাহশেষে উত্তরবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপ অক্ষরেখা বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমশ উত্তরদিকে এগিয়ে আসছে। এর জেরে আগামী ৩-৪ দিন উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে রাজস্থান থেকে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত এই নিম্নচাপ অক্ষরেখা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি করেছে। এর জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস রাজ্যে ঢুকছে। এর জেরে শুধু তবে শুধু উত্তরবঙ্গ নয় আগামী শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই চার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আবহাওয়া দফতর। সে অনু্যায়ী উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ তবে এর মধ্যেই ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়াবিদরা৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবারের পর সপ্তাহান্তে আগামী শনি ও রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ বেশ কয়েকটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে মালদা ও দুই দিনাজপুরে চলবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
তবে শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, নিম্নচাপের জেরে আগামী দুদিন অর্থাৎ শনি ও রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী শনি ও রবিবার কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পাশাপাশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৬৩ % – ৯৪ %