Homeএখন খবরবস্তি নয়, কলকাতার অভিজাত বহুতলগুলিই করোনার আঁতুরঘর

বস্তি নয়, কলকাতার অভিজাত বহুতলগুলিই করোনার আঁতুরঘর

ওয়েব ডেস্ক : আনলকের দ্বিতীয় পর্যায়ে আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে জীবনযাপন। চলছে বাস-অটো, খোলা শপিং মল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি। এর জেরে একদিকে যেমন স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন, অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে ফের কামড় বসাচ্ছে করোনা। বিশেষত কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় সম্ভবত ফের পুরোপুরি লকডাউনের পথেই হাঁটতে চলেছে প্রশাসন। তার মধ্যে বেশিরভাগই কলকাতার অংশ। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনু্যায়ী, আপাতভাবে কলকাতায় সংক্রণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বস্তি অঞ্চলগুলিই প্রধান ভাবা হলেও কলকাতায় সংক্রমণের মাত্রা মূলতঃ অভিজাত আবাসনগুলিতেই বেশি দেখা যাচ্ছে।

এই মূহুর্তে কলকাতার পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক যে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেশিরভাগ এলকাই এখন করোনা সংক্রমিত৷ এর মধ্যে যেমন রয়েছে আবাসন, তেমনই রয়েছে পাকা বাড়ি ও বস্তিও। তবে কলকাতা পুরসভার দেওয়া তথ্য অনুসারে পাকা বাড়ি ও ফ্ল্যাট থেকে যে হারে সংক্রমণের খবর মিলছে তার তুলনায় বস্তিতে সংক্রমণের হার অনেক কম। সোমবারই কলকাতায় ২৮১ জন করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে, তার মধ্যে মাত্র ১৩ জন বস্তির বাসিন্দা। বাকি সবাই বিভিন্ন আভিজাত আবাসনের বাসিন্দা।

এবিষয়ে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যেহেতু শহরের বস্তি অঞ্চলগুলি ঘিঞ্জি ও একটা ঘরেই একসাথে অনেকের বসবাস, সেক্ষেত্রে বস্তিতে কেউ আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গেই সরকারী দায়িত্বে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। পাশাপাশি রোগী পরিবারের সদস্যদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। ফলে সংক্রমণ আর ছড়াতে পারছে না। অন্যদিকে, আবাসনের ক্ষেত্রে সেখানকার বাসিন্দারা শরীরে করোনা উপসর্গ অনুভব করলে অনেকে সরকারের অপেক্ষা না করে নিজে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছেন। এমনকি পরিবারের সদস্যরা সরকারি কোয়ারেন্টাইনেও যেতে চাইছেন না। অনেকে আবার আক্রান্ত হলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চাইছেন। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলে রোগীর যে সমস্ত নিয়মকানুন মানা উচিত অনেকেই সেই নিয়ম কানুন মানছেন না। তার ফলে কলকাতার অভিজাত আবাসনগুলিতেই সংক্রমণের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular