ওয়েব ডেস্ক : সময় যত এগিয়েছে তত নতুনভাবে চরিত্র বদল করেছে করোনা। শুধুমাত্র ফুসফস নয় করোনার প্রভাবে শরীরের প্রায় সব অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এইমসের বিশেষজ্ঞদের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। এতদিন করোনা হলেই জ্বর-শ্বাসকষ্ট কিংবা বুকে ব্যাথাকেই প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হত৷ কিন্তু বর্তমণে এইমসের বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা হলেই যে বুকে ব্যথা বাধ্যতামূলক, তার কিন্তু কোনও নিশ্চয়তা নেই।
এতদিন অবধি কোনো রোগীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তার শ্রেনিবিভাগ করা হচ্ছিল রোগীর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কিনা, তার ওপর ভিত্তি করে৷ কিন্তু এই পদ্ধতিটি কতটা সঠিক তা বিশ্লেষণ করে সেখানে অন্য অঙ্গের প্রভাব যুক্ত করা উচিত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিশেষজ্ঞদের দলে যুক্ত ছিলেন ডিরক্টের রণদীপ গুলেরিয়া, নিউরোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান এমভি পদ্ম শ্রীবাস্তব সহ অন্যান্য চিকিৎসকরা।
এবিষয়ে এইমসের ডিরেক্টর ডক্টর গুলেরিয়া বলেন, “আট মাসে কোভিডের বিষয় অনেক কিছু শিখেছি। সেই অনুযায়ী আমাদের কোভিড বিষয়ক রণনীতি বদলাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, এতদিন করোনাকে শুধুমাত্র ভাইরাল নিউমোনিয়া মনে করলেও আদতে তা নয়, করোনায় ফুসফুস ছাড়াও দেহের বিভিন্ন অঙ্গে প্রভাব বিস্তার করে। এতে অন্যান্য অঙ্গগুলি বিকল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডক্টর গুলেরিয়া বলেন, যে এসিই২ রিসেপটর দিয়ে ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এরপর সেটি ফুসফুস সহ শরীরের অন্যান্য অংশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, করোনা নিয়ে দীর্ঘ ৬ মাসের পর্যবেক্ষণের পর দেখা যাচ্ছে যে করোনার লক্ষণ আছে এমন অনেক রোগীর ভাইরাসের প্রভাবে স্ট্রোক হচ্ছে কিংবা হার্টে ব্লক হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।