নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে পুরসভা গুলির নির্বাচনের প্রাক্কালে আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীরা, আশা কিছুটা হলেও রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জোয়ার আসবে। মামলা মোকদ্দমা কাটিয়ে উঠে সরকার প্রাণপন চেষ্টা করবেন নিয়োগের জন্য। পুরসভার পরই ২০২১ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন তাই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরকারের ধারাবাহিকতা, প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ আরও জোরদার হবে এমনটাই আশার আলো ছিল কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে বোধহয় সব কিছুই বদলে যাবে।
ঘটনাও যে পুরনির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নিয়োগ নিয়ে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এমনকি কিছু নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে শুরুর কথাও ভাবছিল রাজ্য সরকার। এরমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি ছিল পৌরসভা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় কয়েক হাজার নিয়োগের ভাবনা। কিন্তু আপাতত সবই বিশ বাঁও জলে। কিন্তু, বর্তমানে নিয়োগ নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তাই নেই শিক্ষা দফতর বা রাজ্য সরকারের। এখন যে পরিস্থিতি চলছে তাতে মানুষকে সুস্থ রাখাটাই একমাত্র লক্ষ্য। এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। লকডাউনের কারণে থমকে গেছে বহু নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগও। করোনা আতঙ্ক তৈরি হবার আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনের পর টেট পরীক্ষা হবে। এদিকে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ওই মামলার শুনানি ছিল। আর কয়েকটি শুনানি হলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ পাওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। আশা দেখা দিয়েছিল বেশ কিছু নিয়োগের। হাসি ফুটেছিল বেকার যুবক যুবতীর মুখে।
কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে থমকে যায় কলকাতা পৌরনিগমের ভোট, বন্ধ হয়ে যায় হাইকোর্ট। ফলে, দু-টি ক্ষেত্রেই থমকে যায় প্রক্রিয়া।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, “এখন নিয়োগ নিয়ে ভাবছে না সরকার। যখন ভাববার সময় আসবে তখন দেখা হবে।” এর পরে তিনি আরও বলেন, ” এই সময় নিয়োগ নিয়ে কি করে ভাবব ? লোক বাঁচবে কিনা সেটা কেউ জানে না। যাকে নিয়োগ করা হবে সে বেঁচে থাকবে কি না জানি না।” মূলত, করোনার প্রকোপ থেকে মানুষকে বাঁচানোর প্রতিই এখন নজর রয়েছে বলে জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। স্বভাবতই শুধুই শিক্ষক নয় সমস্ত নিয়োগই আপাতত থমকে গেল এমনটাই মনে করা হচ্ছে ।