নিজস্ব সংবাদদাতা: অস্থায়ী কর্মী যাঁরা ‘নো ওয়ার্ক নো পে’তে কাজ করেন, লকডাউনের কারনে তাঁরা অনুপস্থিত বলে তাঁদের বেতন কাটা চলবেনা। কেন্দ্র সরকারের শ্রমমন্ত্রক সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাকেই পরামর্শ দিয়েছে এই অবস্থায় যেন অস্থায়ী কর্মীদের সহ কারও কোনও ভাবেই ছাটাই অথবা বেতন কাটা না হয়।
শ্রমসচিব হীরালাল সামারিয়া সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সমাজের সকলকে একযোগে কাজ করতে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের ছাঁটাই অথবা বিনা বেতনে ছুটিতে যেতে বলা হতে পারে। ফলে তিনি সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে আর্জি জানিয়েছেন, এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কোনভাবেই কাউকে ছাঁটাই না করে অথবা বেতন না কেটে তারাও যেন গোটা প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করে।
ইতিমধ্যে দেশজুড়ে ৮০ টি জেলা লকডাউন করা হয়েছে। যার জেরে বহু কোম্পানির উৎপাদন থেমে গিয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে মল, সিনেমা ,থিয়েটার হল ,দোকান, রেস্তোরাঁ,। ফলে এখন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। এমনকি বেশ কিছু কোম্পানি তাদের কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে যেতে বলেছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে হীরালাল সামারিয়ার বক্তব্য, করোনা ভাইরাসের কারণে কোনও ইউনিটে এখন কাজ বন্ধ থাকার জন্য কেউ সেখানে না আসতে পারে তা হলেও তাকে উপস্থিত বলেই গণ্য করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ছাঁটাই অথবা বেতন কাটা হলে সংকট আরও গভীরে পৌছবে। কারণ তাহলে কর্মীদের শুধুমাত্র আর্থিক দুরবস্থা বাড়বে এমন নয়, পাশাপাশি হতাশা বাড়বে। এইসব প্রসঙ্গ টেনে তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের রাজ্যের সকল মালিক অথবা কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিতে বলেছেন।
এরফলে দেশ জুড়ে লক্ষ লক্ষ অস্থায়ী কর্মী যাঁরা কাজ হারানোর বা বেতন না পাওয়ার আশংকায় ভুগছিলেন তাঁদের আশ্বস্ত করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, গোটা জাতি এক ভয়াবহ সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। সবাইকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। কারও আশংকা অনিশ্চয়তা যেন এই ঐক্যবদ্ধ লড়াই থেকে তাঁকে বিছিন্ন না করে দেয়।