ওয়েব ডেস্ক : দেশে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোন গুলিতে ৩০ শে জুন পর্যন্ত লকডাউন করা হলেও কন্টেনমেন্ট জোন নয় এমন এলাকাগুলিকে কেন্দ্রের ‘আনলক ১’ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কার্যত ‘আনলক ১’ শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। ফলে একদিকে করোনা সংক্রমণ অন্যদিকে অর্থনৈতিক মন্দা। দুইয়ের মাঝে দ্বন্দে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্র রাজ্য। ফলে অনেকেই মনে করছেন সংক্রমণ কমাতে আবারও লকডাউনের পথেই হাটবেন কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়ায়তেও এই সংক্রান্ত নানান পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে আশঙ্কা বাড়ছে। রবিবার সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিল কেন্দ্রীয় প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো( পিআইই)। প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো-র তরফে জানানো হয়েছে , সোশ্যাল মিডিয়ায় লকডাউন সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট সম্পূর্ণ মিথ্যা। সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি।
করোনা পরিস্থিতি যেভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে তা বড় উদ্বেগের। এই নিয়ে আগামী মঙ্গল ও বুধবার দফায় দফায় বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করবেন কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি মেসেজ পোস্ট হয়েছে, যেটিতে লেখা রয়েছে, “দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতির জন্য আগামী ১ লা জুলাইয়ের পর থেকে ফের লকডাউনের ঘোষণা করবে কেন্দ্র”। এই ধরনের পোস্ট দেখে পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে তা নিয়ে অনেকেই বেশ আতঙ্কিত। যদিও এই ধরনের পোস্টে কোনো সরকারী শিলমোহর দেননি কেন্দ্র বা রাজ্য। এমনকি কোনো নেতামন্ত্রীর মুখেও এবিষয়ে কোনোরকম মন্তব্য শোনা যায়নি।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত ২৩ শে মার্চ থেকে দফায় দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই মুহুর্তে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি সব কিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে গিয়েছে, দোকান-বাজার, রেস্তোরাঁ-শপিং মল, ধর্মীয় স্থান। এছাড়া রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বেরোলে মাস্ক, গ্লাভস,স্যানিটাইজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মানতে হবে ৬ ফুট দূরত্ব। তবে এইসব ছাড় শুধু মাত্র নন কন্টেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে। কন্টেনমেন্ট জোনে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।