নিউজ ডেস্ক: করোনা আবহে রমরমা হয়ে উঠেছে মধুচক্রের আসর।দিনের আলোতে চলছে এই অবৈধ কারবার।খবর ছিল পুলিশের কাছে বহুদিন ধরে।অবশেষে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের প্রধান নগর থানার পুলিশের সাফল্য৷ প্রধাননগর থানার এলাকার চম্পাসারি এলাকার একটি লজে চলছিল মধু চক্র। গোপন সূত্রে পাওয়া এই খবরের ভিত্তিতে ওই লজটিতে অভিযান চালায় প্রধান নগর থানার সাদা পোশাকের পুলিশ বাহিনী।
অভিযানে গ্রেফতার নয় জন। উদ্ধার হয় ছয় যুবতী। ঐ লজের মালিক সহ নয় জনকে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে পাঠায় প্রধান নগর থানার পুলিশ৷ উদ্ধার ৬ যুবতীকে আদালতের নির্দেশ মেনে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান নগর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ আসছিল ঐ লজে চলে অবৈধ দেহ ব্যবসার কারবার ৷
সেই খবরের ভিত্তিতেই শনিবার অভিযান চালায় প্রধাননগর থানার পুলিশ৷ তার পর মেলে সাফল্য৷ধৃত ব্যাক্তি দের নাম ঐ লজের মালিক অদৃশ কুমার শা’হ, ম্যানেজার শম্ভু নাথ কুমার, এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছে নিতেশ কুমার ঝা, পিন্টু কুমার ঝা, রমন কুউমার ঝা, রবি শঙ্কর গনেশ, নাসির জামাল, ধীরেন্দ্র কুমার ঝা, ধৃতরা সবাই বিহারের বাসিন্দা৷ অপর অভিযুক্ত হরি কার্কি বানারহাটের বাসিন্দা৷ রবিবার ধৃত ব্যাক্তিদের শিলিগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়৷
গতবছর ঠিক এই সময়, শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন একটি লজে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ হানা দেয়। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন ওই লজে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে লজের মালিক, মালিকের ছেলে সহ তিনজন মহিলা ও তিনজন পুরুষকে আটক করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বেশ কয়েকদিন ধরেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন ওই লজের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। 13 অগাস্ট দুপুরে ওই লজের সামনে তিন জনকে সন্দেহজনকভানে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ।এরপরই এলাকাবাসিদের সহযোগিতায় লজের ভেতরে ঢুকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ বাহিনী ।
পুলিশের অভিযানে আটক তিন ব্যক্তি শিলিগুড়ির বাসিন্দা৷ অপরদিকে আটক ৩ জন মহিলার মধ্যে একজনের বাড়ি কালিম্পং ও বাকি দুজন মহিলা শিলিগুড়ির বাসিন্দা ছিল।