নিজস্ব সংবাদদাতা: একটু হলেও স্বস্তিতে শহর মেদিনীপুর কারন গত ২দিনে তেমন করে সংক্রমন বাড়েনি শহরে। গত ১ মাসের করোনা তথ্য সম্বলিত করে ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ দেখিয়েছিল আগষ্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের ১২তারিখ অবধি শহরের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছড়িয়ে গেছে। আর মারাত্মক সংক্রমন হয়েছে ৫-১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ওই ৮ দিনে শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০জন। আর এর বেশির ভাগ সংক্রমনটাই ছিল পারিবারিক।
১৩ এবং ১৪ তারিখ সেই সংক্রমনটা অনেকটাই নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। ১২তারিখ সহ পূর্ববর্তী ৮দিনে দৈনিক গড় যেখানে প্রায় ৩৫ জন হয়ে গেছিল ১৩ এবং ১৪ তারিখে সেই গ্রাফটা নেমেছে গড়ে ৭ জনে। অর্থাৎ এই দু’দিনে মেদিনীপুর শহরে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে মাত্র ১৪ জন। যার মধ্যে আবার ২ জন মৃতা রয়েছেন। সোমবারের রিপোর্টে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আরটি/পিসিআরে ৬জন পজিটিভ যার মধ্যে কেশপুর ও কোতোয়ালি থানা এলাকার ৫০ ও ৩০ বছরের দুই মৃতা রয়েছেন। এঁদের মৃত্যুর পর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্ৰহ কেন্দ্র হিসেবে এরা শহরের আক্রান্ত বলেই গন্য।
অন্যদিকে শহর ও শহর তলিতে এদিন আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় ৩ জন পজিটিভ হয়েছেন। অন্যদিকে রবিবার শহরের হবিবপুর, হাতারমাঠ, মানিকপুর, উদয়পল্লী ও মিরবাজার এলাকা থেকে ৫ আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। হঠাৎ করে আক্রান্ত কমে যাওয়ার পেছনে একটাই কারন পরীক্ষার পরিমান কমে যাওয়া। এমনিতেই NICED থেকে এখনও আসেনি ২হাজারের মত রিপোর্ট তার ওপর আ্যন্টিজেন পরীক্ষাতেও যেন হঠাৎ করে কমে গিয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর জেলায় আ্যন্টিজেন পরীক্ষা হয়েছিল ১১৪ জনের। ৩ সেপ্টেম্বর সেটা ১০৩ জনে দাঁড়ায়। ৬সেপ্টেম্বর আ্যন্টিজেন পরীক্ষা হয় ৬৮ জনের।
১৩ এবং ১৪ তারিখ পরীক্ষা হয় ৩৪ এবং ৪৮ জনের। এই দুইয়ে মিলিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমনের গড় হার কমে গেছে। যদিও এতে উল্লসিত হওয়ার কোনোও কারন নেই বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা কারন যে ২হাজার রিপোর্ট NICED বকেয়া রয়েছে কিংবা তাঁদের যদি ফের মেদিনীপুর ল্যাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় যা কিনা শেষ অবধি NICED য়ের রিপোর্ট না এলে করতে হতে পারে তখন আক্রান্ত বৃদ্ধির হারে বিস্ফোরণ হয়ে যেতেও পারে বলে স্বাস্থ্য কর্তাদের অভিমত।