ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্তর মুখে দাঁড়িয়ে বাংলা। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কোনও জায়গায় করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিললেই এলাকাটিকে কন্টেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে আর তার বাইরে বাফার জোনের বলয় তৈরি করা হচ্ছে। বাংলায় দিন দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই বিগত দিনের রেকর্ড ভেঙে ২৪ ঘন্টায় ৩৯৬ জন আক্রান্ত। যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তার মধ্যেই এবার কনটেইনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা বদল আনার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, আগে কোনো পরিবারে করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে সেই এলাকাটা পুরোটাই সিল করে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হত। কিন্তু রাজ্য সরকারের নয়া পরিকল্পনায়, যদি কোনো আবাসনের একটি পরিবার আক্রান্ত হয় তবে শুধুমাত্র সেই পরিবারকেই কন্টেনমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে গোটা আবাসনটি কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়বে না। তবে যদি কোনো আবাসনের একাধিক বাসিন্দা আক্রান্ত হন তবে সেক্ষেত্রে গোটা আবাসনটিকেই কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় ফেলা হবে।
তবে শুধু শহর নয় গ্রামের দিকেও কন্টেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা বদল এনেছে রাজ্য। গ্রামের দিকে আগে কেউ করনা আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে গোটা পাড়া সিল করে দেওয়া হত। কিন্তু এখন থেকে পুরো পাড়া সিল না করে শুধুমাত্র আক্রান্তের বাড়ি ও তাঁর পাশের বাড়ি কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় রাখা হবে। এই বদলের কারণ হিসেবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু কন্টেনমেন্ট এলাকা বাদে অন্যান্য এলাকার পুরোটাই এখন খুলে গিয়েছে ফলে কন্টেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের মনবল জোগাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯৬ জন৷ এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১৬৮ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৩৪২৩ জন৷পাশাপাশি, অন্যান্য জেলার তুলনায় কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মঙ্গলবার কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১৬ জন। এই নিয়ে কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২৯৫ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৭০ জন।