নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপির এক মন্ডল সভাপতির বাড়িতে মধ্যরাতে মুহুর্মুহু বোমাবাজির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালো মধ্যরাতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানার পাকুড়সেনি গ্রামপঞ্চায়েতের সিয়াড়া গ্রামের ঘটায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে। পাশাপাশি বিজেপি অভিযোগ পুলিশকে খবর দেওয়া স্বত্ত্বেও পুলিশ যায়নি ঘটনাস্থলে।
নারায়নগড়ের উত্তর মন্ডল সভাপতি সত্যজিৎ দে বলেন, “বুধবার রাতে আমরা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎই প্রচন্ড আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। কী হয়েছে বুঝে ওঠার আগেই ফের আওয়াজ। এবার বুঝতে পারি আমার বাড়ি লক্ষ্য করেই বোমা ছোঁড়া হচ্ছে। একের পর এক বোমা পড়তেই থাকে। ভয়ে, আতঙ্কে আমার গোটা পরিবার সিঁটিয়ে থাকে।” সত্যজিৎ আরও বলেন, ” এটা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদেরই কাজ। এলাকায় দ্রুত জনসমর্থন কমছে দেখেই ওরা বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো, বোমাবাজি করছে যাতে ভয় পেয়ে বিজেপি সমর্থকরা ঘরে ঢুকে যায়। ওই রাতে আমি থানায় ফোন করে ঘটনা জানাই কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল পুলিশ আসেই নি।”
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বোমার আঘাতে বাড়ির ছাউনি সামনের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়েছে। সত্যজিতের প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, অন্তত ৫টি বোমা পড়ার শব্দ শুনেছেন তাঁরা। সিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন বোমার আতঙ্কে তাঁদেরও সারা রাত আতঙ্কের মধ্যে কেটেছে।পাকুড়েশেনি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জিত বোস বলেন, “এটা বিজেপির নিজেদেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপি কর্মীরা প্রচারে আসার জন্য নিজেরাই এইসব করে মিথ্যে অভিযোগ করছে।”
ঘটনা হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই থানা এলাকা কার্যত বারুদের স্তূপের ওপর বসে রয়েছে এমনটাই মানুষের দাবি। বারবার বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। প্রায় সর্বত্রই বোমা মজুত কিংবা বোমা তৈরি করতে গিয়েই ঘটনা ঘটেছে এমনটাই অভিযোগ। এমনকি তৃনমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরনের ঘটনায় তিনজন তৃনমূল কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সর্বত্রই এই বোমার বাড়বাড়ন্তের পেছনে শুধুই রাজনৈতিক শত্রুতাই নয়, কাজ করেছে নারায়নগড় তৃনমূলের অভ্যন্তরীন গোষ্টিদ্বন্দ্বও।